শিল্পকলায় অরওয়েলের ‘অ্যানিমেল ফার্ম’

সাধারণ ব্যক্তিরা সব সময় ক্ষমতাবানদের নির্যাতনের শিকার হয়। নিপীড়নের মাত্রা বেড়ে গেলে বিপ্লবের সৃষ্টি হয়। ক্ষমতার পরিবর্তন হয়, নেতৃত্বে আসে নতুন কেউ। কিন্তু সাধারণের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। এমন প্রেক্ষাপটে জর্জ অরওয়েল লিখেছিলেন ‘অ্যানিমেল ফার্ম’। ঢাকার মঞ্চে আজ নাটকটি মঞ্চায়ন করবে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইন। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে অ্যানিমেল ফার্ম মঞ্চস্থ করবে প্রাচ্যনাট স্কুলের ৪৭তম ব্যাচ। নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় জগন্ময় পাল।

বাংলাদেশের থিয়েটারের বিস্তারে এবং দক্ষ থিয়েটারকর্মী তৈরিতে ২৪ বছর ধরে কাজ করে চলেছে প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাকটিং অ্যান্ড ডিজাইন। ইতিমধ্যে এই স্কুলের ৪৬টি ব্যাচ তাদের কোর্স সম্পন্ন করেছে। আজ সনদ বিতরণের মাধ্যমে শেষ হবে ৪৭তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া এই আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষক ও থিয়েটারকর্মী সামিনা লুৎফা নিত্রা এবং লেখক ফিরোজ আহমেদ। সনদ বিতরণ শেষে প্রদর্শিত হবে অ্যানিমেল ফার্ম।

অ্যানিমেল ফার্ম নাটকের গল্পে দেখা যায় মি. জোন্স তার ফার্মের পশুদের ওপর দিনের পর দিন অবিচার করে আসছে। একদিন ফার্মের সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বয়স্ক শূকর ‘বৃদ্ধ মেজর’ বিপ্লবের ডাক দেয়। সে এমন এক ফার্মের স্বপ্ন দেখায়, যেখানে সব পশু সমান অধিকার পাবে। কোনো পশুই ক্রীতদাস থাকবে না। কিছুদিন পরই বৃদ্ধ মেজর মারা যায়, কিন্তু থেমে থাকে না বিপ্লবের স্বপ্ন। এই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয় ফার্মের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী শূকর, যাদের মধ্যে অন্যতম স্নোবল ও নেপোলিয়ন। একদিন সব পশু ঐক্যবদ্ধ হয়ে অতর্কিত আক্রমণের মাধ্যমে বিতাড়িত করে ফার্মের অত্যাচারী মালিক মি. জোন্সকে। তারপর শুরু হয় পশুদের রাজত্ব। ঘটনাক্রমে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে নেপোলিয়ন। ক্রমেই স্বৈরাচারী আচরণ শুরু করে সে। বায়ুকলের খরচ জোগানোর জন্য পশুদের খাবারের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া, দৈনন্দিন কর্মঘণ্টা বৃদ্ধি করা, নেপোলিয়নের কথা না শুনলে বিদ্রোহীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার নিয়ম চালু হয়। ফার্মে ক্রমেই অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠতে থাকে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

20 + twenty =