শীর্ষ ছয়ে থাকা নিশ্চিত করলো ব্রাইটন

চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটিকে রুখে দিয়ে ব্রাইটন নিজেদের কাজটুকু সেড়ে নিয়েছে। বুধবার সিটির সাথে ১-১ গোলে ড্র করে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ ছয়ে থেকে মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছে ব্রাইটন। পেপ গার্দিওলার দল অবশ্য জয়ের ধারা থেকে বেরিয়ে এলেও টানা ২৫ ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে।

সিটির সাথে গুরুত্বপূর্ণ এই এক পয়েন্ট সিগালসদের শীর্ষ ছয়ে টিকে থাকার জন্য যথেষ্ঠ ছিল। আর এর ফলে আগামী মৌসুমে তারা ইউরোপা লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

কমিউনিটি স্টেডিয়ামে ২৫ মিনিটে ফিল ফোডেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন। ৩৮ মিনিটে জুলিও এনসিসোর  দুর পাল্লার দুর্দান্ত শটে ব্রাইটন সমতায় ফিরে।

ম্যাচ শেষে গার্দিওলা বলেছেন, ‘মাত্র ৪৮ ঘন্টা আগে ম্যানচেস্টারে শিরোপা হাতে পেয়েছি, আজ প্রমান হলো কেন তারা চ্যাম্পিয়ন। আমরা ন¤্র ছিলাম এবং শিরোপার জন্য চেষ্টা করেছি। এ কারনেই অনেক বছর ধরে আমরা চ্যাম্পিয়ন। এই খেলোয়াড়রা অবশ্যই বিশেষ কিছু করে দেখিয়েছে।’

ম্যাচের আগে ব্রাইটন বস রবার্তো ডি ডারবির প্রশংসা করেছেন গার্দিওলা। গত ২০ বছরে ইংলিশ ফুটবলে অন্যতম প্রভাবশালী ম্যানেজার হিসেবে ইতালিয়ান ডি জারবির প্রশংসা করেছেন সিটি বস। রোববার চেলসির বিরুদ্ধে ১-০ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে যে ক’জন তারকাকে বদলী বেঞ্চে রেখেছিলেন গার্দিওলা তাদের সকলকেই কাল মূল দলে ফিরেছিলেন। ছয়টি পরিবর্তনের মধ্যে দলে ফিরেছিলেন আর্লিং হালান্ড।

প্রথম আধ ঘন্টার মধ্যে মৌসুমের সপ্তম হ্যাটট্রিক প্রায় পেয়েই গিয়েছিলেন এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। পাঁচ মিনিটে ফোডেনের ক্রসে হালান্ডের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। এরপর জেনস স্টিলকে পরাস্ত করার সহজ একটি সুযোগ হাতছাড়া করেন। ২৫ মিনিটে অবশ্য হালান্ডের এ্যাসিস্টে মৌসুমের ১৫তম গোল পূরণ করেন ফোডেন। এই গোলটি অবশ্য তিনি নিজেও আদায় করে নিতে পারতেন। গোলরক্ষক স্টিলকে একা পেয়েও নি:স্বার্থভাবে হালান্ড বলটি বাড়িয়ে দেন ফোডেনের দিকে।

ধীরে শুরু করা সত্তেও ব্রাইটন দ্রুতই সিটির সাথে সমান তালে লড়াই করতে শুরু করে। ড্যানি ওয়েলবেকের ফ্রি-কিক বারে লেগে ফেরত আসে, নাহলে তখনই হয়তো সমতায় ফিরতে পারতো স্বাগতিকরা। সিটি রক্ষনভাগকে ফাঁকি দিয়েও গোল আদায় করতে পারেননি ফাকুনডো বুনানোত্তে। হ্যান্ডবলের কারনে কারু মিতোমার গোলটি বাতিল হয়ে যায়।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে ঠিকই সমতায় ফেরান এনসিসো। লেভি কোলউইলের পাস থেকে প্যারাগুইয়ান মিডফিল্ডার কোনাকুনি শটে ব্রাইটনকে সমতায় ফেরান।  এ্যামেক্সে এনসিসোর এটি প্রথম গোল। মিতোমার পাসে ওয়েলবেক বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়। ব্রাইটনের একের পর এক আক্রমনে সিটির রক্ষনভাগ কিছুটা হলে বিচলিত হয়ে পড়ে।

দ্বিতীয়ার্ধে কোন দলই প্রতিপক্ষের রক্ষনভাগকে খুব একটা বিপদে ফেলতে পারেনি। আর সে কারনে ম্যাচেও ধীরগতি দেখা দেয়। কোল পারমার ক্রস থেকে ১৫ মিনিটে হালান্ডের হেড জালে প্রবেল করলে মৌসুমের ৫৩তম গোল আদায় করে নিয়েছিলেন এই নরওয়েজিয়ান। কিন্তু ভিএআর পর্যবেক্ষনে দেখা গেছে গোলের আগে কোলউইলের জার্সি ধরে হালান্ড টান দিয়েছেন। ভিএআর’এর এই সিদ্ধান্তে টাচরাইনে গার্দিওলা কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে হলুদ কার্ড পেয়েছেন।

এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালকে সামনে রেখে সিটি শিবিরে সামান্য কিছু ইনজুরি দেখা দিয়েছে। ফিল ফোডেন, জোন স্টোনস ও বার্নানন্ডো সিলভা খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে না পারায় দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামেননি।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × 4 =