‘শেখ রাসেল দীপ্তিময়, নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’ প্রতিপাদ্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে শেখ রাসেল দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালে যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই সংগ্রামে ব্যস্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু। বার বার কারাবরণ করার কারণে বঙ্গবন্ধু তাঁর শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে কখনো সেভাবে সময় দিতে পারেননি। রাসেল বেড়ে উঠছিলেন পিতার স্নেহ বঞ্চিত হয়ে। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সকলেরই আত্মত্যাগ রয়েছে। আর শিশু রাসেলের আত্মত্যাগ হলো তার পিতার স্নেহ বঞ্চিত হওয়া।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক বার্ন্টার্ন্ড রাসেলের নামানুসারে তার কনিষ্ঠ পুত্রের নাম রাসেল রাখেন। তাকে নিয়ে হয়তো জাতির পিতার অনেক স্বপ্ন ছিল কিন্তু রাসেলের মত একটি সম্ভাবনাময় শিশু বিকশিত হওয়ার আগেই ঘাতকের বুলেটের আঘাতে অকালে প্রাণ দিয়েছেন। রাসেলের মত করুণ পরিনতি যেন আর কোন শিশুর না হয়। আমরা চাই সকল শিশুর জন্য বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা ১৫ই আগস্টের কাল রাতের ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন বলেই বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আমরা জাতির পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করতে পারছি। জাতির পিতার কন্যার হাত ধরেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছে। এই অর্জন আমাদেরকে অব্যাহত রাখতে হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে অন্যানের মাঝে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবিএম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান ও পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইন সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।