সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরার জন্মদিন আজ

বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বহু গান রচনা করে গেছেন জীবদ্দশায়। সেসব গান এখনো বাঙালির হৃদয়ে মিশে আছে গভীরভাবে। তবে গানগুলোকে যারা মানুষের হৃদয় অব্দি পৌঁছে দিয়েছেন, তাদের একজন ফাতেমা তুজ জোহরা। নজরুল সঙ্গীতের প্রসঙ্গ উঠলেই তার নামটি উচ্চারিত হয় সবার আগে। তার কণ্ঠেই যেন প্রাণ প্রায় নজরুলের গান।

আজ ১৫ জানুয়ারি বিশিষ্ট এই শিল্পীর জন্মদিন। শুভ জন্মদিন ফাতেমা তুজ জোহরা। বগুড়ায় মরহুম ডা. সৈয়দ ফরীদ উদ্দীন, মিসেস ফজিলেতুন্নেসার ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন এই শিল্পী। বাবা সরকারি ডাক্তার হওয়াতে তার ছোটবেলা কেটেছে জয়পুরহাটসহ বিভিন্ন জেলা শহার। ৫ বছর বয়স থেকে প্রথম ওস্তাদ হাবিবুর রহমান সাথী ভাই এবং পরবর্তী সময়ে ঢাকায় ওস্তাদ মিথুন দে’র কাছে গানে তালিম নেন তিনি।

ফাতেমা তুজ জোহরা প্রথম মঞ্চে গান করেন স্কুলে অর্থাৎ ক্লাস ফাইভে পড়াকালীন। এরপর থেকে এগিয়ে চলে তার গানযাত্রা। ১৯৭৫ সালে প্রথম রেডিওতে এবং ১৯৭৭ সালে টেলিভিশনে গান করেন তিনি।

তার কণ্ঠে সব মিলিয়ে প্রায় ২০টি অ্যালবাম বের হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- শ্যাম তুমি, তুমি বেশ বদলে গেছো, আমার এ ভালোবাসা (আধুনিক), সে আসে রুদ্রবীণায়, রূপের বাজারে (আধুনিক) প্রভৃতি। বা

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ফাতেমা তুজ জোহরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছে একুশে পদক, জাতীয় প্রেসক্লাব সম্মাননা, নজরুল একাডেমী পুরস্কার, শেরে বাংলা স্মৃতি পদক প্রভৃতি।

একজন সুকণ্ঠী গায়িকা হিসেবে পরিচিত হলেও ফাতেমা তুজ জোহরার রয়েছে আরও কিছু পরিচয়। তিনি লেখক হিসেবেও প্রতিভা বিকাশ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত- ‘সোনার ক’দিন, কলাম সমগ্র- ‘কিছু নিয়ে কিছু কথা’, কবিতা- ‘বাস’, ‘দুলি’, শিশুদের ছাড়ার বই প্রভৃতি তার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা।

অভিনয়ের ক্ষেত্রেও এই সাংস্কৃতিক ব্যক্তির পদচারণা রয়েছে। ‘ভালোবাসার সাদাকালো’ নামে একটি আর্ট ফিল্মে গানের সাখে সাথে তিনি অভিনয় নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। ১৯৮৫ সালে তার অভিনীত প্রথম নাটক ‘লাগুক দোলা’ বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রচার হয়। তারপর সময়ের শরীর, ঘরে-বাইরে, ওয়েটিং ফর বেবী, শিউলিমালা, ঘর মন জানালা প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × 3 =