সঙ্গীতশিল্পী হাবিব ওয়াহিদের হাত ধরে দেশীয় সঙ্গীতের একটা বৈপস্নবিক পরিবর্তন আসে। অডিও অ্যালবাম, পেস্নব্যাক এবং ভিডিও মাধ্যম মিলিয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার অসংখ্য গান। শুধু তাই না, হাবিবের হাত ধরে তৈরি হয়েছে এ সময়ের বেশ ক’জন কণ্ঠশিল্পী এবং সঙ্গীত পরিচালক। ব্যক্তিগতভাবে নিজেও ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখনো অবধি জনপ্রিয়তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে কাজ করে আসছেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় এই গায়ক-সঙ্গীত পরিচালক।
আজ এই জনপ্রিয় গায়কের জন্মদিন। ১৯৭৯ সালের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বিশেষ এই দিনে প্রতিবছরই সামাজিক যোগাযোগসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ভক্ত-অনুরাগী এবং মিডিয়াসংশ্লিষ্টদের শুভেচ্ছায় ভাসেন এ শিল্পী। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
২০০৩ সালে প্রকাশিত ‘কৃষ্ণ’ অ্যালবামের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন হাবিব। মানে, সে বছর শ্রোতামহলে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল অ্যালবামটি। সেই ধারাবাহিকতায় ২০০৪ সালে ‘মায়া’ এবং ২০০৫ সালে ‘ময়না গো’ শিরোনামের অ্যালবামটি দুটিও দারুণভাবে গ্রহণ করেন শ্রোতারা। সে দুই বছর অ্যালবাম দুটি সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। এরপর একে একে হাবিবের বেশকিছু অ্যালবাম প্রকাশ পায়। এর মধ্যে- ‘শোন’, ‘বলছি তোমাকে’, ‘আহ্বান’, ‘স্বাধীন’ প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য।
অডিও-পেস্নব্যাক মিলিয়ে হাবিবের কণ্ঠে অধিক জনপ্রিয়তা পাওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘দ্বিধা’, ‘ভালোবাসবো বাসবো রে বন্ধু’, ‘দিন গেলো তোমারো পথ চাহিয়া’, ‘চন্দ্র গ্রহণ’, ‘এক মুঠো ভালোবাসা’, ‘হাওয়ায় হাওয়ায়’, ‘কেনো পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’ প্রভৃতি উলেস্নখযোগ্য।
হাবিব ওয়াহিদ বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ছেলে। সঙ্গীতে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার এবং সিটিসেল মিউজিক অ্যাওয়ার্ডসহ দেশ-বিদেশের আরও বেশকিছু পুরস্কার পেয়েছেন হাবিব ওয়াহিদ।