বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের তথ্য ও দপ্তর সম্পাদক এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আমরা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের তিন অপারেটরের মোট ৫ কোটি ২৬ লাখ ৪৭ হাজার ২৬৩টি সিমের তথ্যের গরমিল দেখা যায়। এতে ১০ ধরনের তথ্যের বৈসাদৃশ্য আসে। এরমধ্যে গ্রামীণফোনের ৪৮ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ টি সিমে , বাংলালিংকের ২ কোটি ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬০টি সিমে এবং রবির (এয়ারটেল ০১৬ ) ৪৮ লাখ ৯৪ হাজার ১৫৯টি সিমে ও (রবি ০১৮) ১ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার ৬২৩টি সিমে এই গরমিল।
গ্রাহকদের তথ্যের গরমিলের কারণে গ্রাহকদের হয়রানি যাতে না হয় এবং গ্রাহকরা কোনভাবেই এই তথ্যের গড় মিলের দায় নিবে না বলে গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০১৬ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রাহকের সিম নিবন্ধন করা হয় । এবং আনুষ্ঠানিকভাবে যার উদ্বোধন হয় ২০১৬ সালের ১৫ই ডিসেম্বর থেকে। সেই সময় গ্রাহক ছিল ছয় অপারেটর মিলিয়ে ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৯৬ হাজার। আর বর্তমানে চার অপারেটর মিলিয়ে গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি।
এই প্রক্রিয়ায় গ্রাহক রিটেলার বা কাস্টমার কেয়ার থেকে সিম গ্রহণ করার সময় তার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য এবং আঙুলের ছাপ দেবার সাথে সাথে তা বিটিআরসির সিবিভিএমপি – মোবাইল অপারেটর এবং নির্বাচন কমিশনের সার্ভার এ সংরক্ষিত থাকবে। তথ্যের ঘাটতি থাকলে একজন গ্রাহক সিম রিপ্লেস, কিংবা এমএনপি করার সময় হয়রানির শিকার হবে। তাছাড়া আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহারের কারণে হয়রানির শিকার হতে পারে।
আমরা বলতে চাই দ্রুত বিটিআরসি এই সমস্যার সমাধান করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বর্তমান সিস্টেম বিভাগের মহাপরিচালক আন্তরিক এবং বেশ প্রজ্ঞাবান ব্যক্তি। আমাদের তার প্রতি আস্থা আছে। তবে কোন গ্রাহক হয়রানির শিকার হলে এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে বিটিআরসির উপর বর্তাবে। এবং পূর্বে যারা বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সাথে যুক্ত ছিলেন তারাও কোনোভাবেই এই দায় এড়াতে পারে না। জাতীয় পরিচয় পত্রের পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যম মোবাইল ফোন নাম্বার। তাই দ্রুত এর সমাধান করে গ্রাহকদের হয়রানি থেকে পরিত্রাণ দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।