উপল সেনগুপ্ত গায়ক, সুরকার। চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের হয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করছেন তিন দশকের বেশি সময় ধরে। আর্ট কলেজের ছাত্র ছিলেন, ভালোবাসেন ছবি আঁকতে। কার্টুনিস্ট হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা আছে। গানের মানুষ উপল এবার আসছেন নতুন পরিচয়ে। নির্মাতা হিসেবে। ‘মরীচিকা’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য অ্যানিমেশন ফিল্ম বানিয়েছেন উপল।
চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের আরও দুই সদস্য চন্দ্রিল ভট্টাচার্য ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় আগেই নির্মাতার খাতায় নাম লিখিয়েছেন। ‘ওয়াই টু কে’, ‘ট্যালেন্ট’সহ একাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বানিয়েছেন চন্দ্রিল। অনিন্দ্য বানিয়েছেন ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’, ‘প্রজাপতি বিস্কুট’, ‘প্রেমটেম’ নামে তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। এবার একই ব্যান্ডের উপলও হাত পাকালেন নির্মাণে। উপল বলছেন, ‘ছোটবেলা থেকে আমার তিনটি ইচ্ছা ছিল—স্টেজে গান গাওয়া, একটা কমিক স্ট্রিপ তৈরি করা আর একটা অ্যানিমেশন সিনেমা বানানো। অনেক বছর ধরেই তো স্টেজে গাইছি। পুচকি নামে আমার একটা কমিক সিরিজও বেরিয়েছে। বাকি ছিল সিনেমা বানানো। এবার সে স্বপ্নটাও পূরণ হলো।’
‘মরীচিকা’ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে এখনকার মানুষের জীবনে স্মার্টফোনের প্রভাব নিয়ে। এক তরুণ মরুভূমিতে ঘুরে বেড়ানোর সময় স্মার্টফোনের ভিডিও গেমসে এতটাই মগ্ন হয়ে পড়ে যে সে ভুলে যায় নিজের চারপাশ। যেটা তার জীবনে ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনে। এটাই চার মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘মরীচিকা’র প্রেক্ষাপট। উপলের লেখা গল্প ও পরিচালনায় এর অ্যানিমেশন করেছেন পুষণ চক্রবর্তী। সংগীত পরিচালনায় আছেন প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়।
উপল বলেছেন, ‘আইফোন কেনার জন্য একজন তার কিডনি বিক্রি করে দেয়। চার বছর আগে পত্রিকায় এমন একটা খবর পড়ে এ শর্টফিল্মের গল্প আমার মাথায় আসে। আমি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলাম, কেন ওই লোকটি তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের চেয়ে স্মার্টফোনকে বেশি জরুরি মনে করছে।’ উপল জানিয়েছেন, অ্যানিমেশন সিনেমা ‘মরীচিকা’ শিগগির প্রদর্শিত হবে বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র উৎসবে।