প্রথম ম্যাচে কয়েকটি রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ দলীয় রানের স্কোর। রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা। তাওহিদ হৃদয় অভিষেকে ৯২ রান করে রেকর্ড গড়েছেন। অভিষেকে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করার মালিক এখন এই তরুণ। ৩৩৮ রান করার পর ১৮৩ রানের বিশাল জয় বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচে এমন জয়ের পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এখন বাংলাদেশের সামনে সহজেই সিরিজ নিজেদের করে নেয়ার হাতছানি। আজ সোমবার দ্বিতীয় ম্যাচে আইরিশদের বিপক্ষে দুপুরের পরই মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচে জিততে পারলেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে টাইগারদের। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ঘরের মাঠে আবারও জয়ের ধারায় ফিরে আসবে তামিম ইকবালের দল।
বিসিবি একাদশের বিপক্ষে প্র্যাকটিস ম্যাচের পারফরমেন্স ও ফল দেখে মনে হয়েছিলো ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে আয়ারল্যান্ড; কিন্তু বাস্তবে তার কিছুই ঘটেনি। ঘুরিয়ে বললে প্রথম ওয়ানডেতে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়া বহুদুরে, পাত্তাই পায়নি আইরিশরা।
মাঠে ব্যাটিং, বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে নিজেদের সেরা প্রমাণ দিয়েই ১৮৩ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তামিমের দল। জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর আগে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৩৩৮ রানের রেকর্ড পুঁজি গড়ে ১৮৩ রানের বড় জয়ের স্বাদ নেয়ার পর কী আইরিশদের একটু হালকাভাবে নিচ্ছে স্বাগতিকরা।
স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথের কথা শুনে মনে হলো একদমই আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে নারাজ টাইগাররা। গতকাল রোববার সিলেট স্টেডিয়ামে রঙ্গনা হেরাথ বলেন, ‘আমরা জানি আইরিশরা লড়াই করে সিরিজে ফিরতে পারে। তাই আমরা তাদের যথাযথ মোকাবিলায় প্রস্তুত।’
এদিকে প্রথম ওয়ানডেতে শুধু ভাল খেলে বড় ও রেকর্ড জয়ে মাঠ ছাড়াই নয়, গত শনিবার বাংলাদেশ একটি ধারনাও পাল্টে দিয়েছে। এতকাল জানা ছিল, একটু স্লো-লো আর খানিক টার্নিং পিচেই টাইগাররা অনেক বেশি সাবলীল। স্বপ্রতিভ।
বিশেষ করে এশিয়ার বাইরের দলগুলোর বিপক্ষে ঐ ধরনের কন্ডিশনেই ভাল খেলে বাংলাদেশ। তাই সবার ধারনা ছিল উইকেট একটু স্লো ও লো‘ই হবে। কিন্তু বাস্তবে খেলা হলো অনেক ভাল ব্যাটিং সহায় উইকেটে। সেখানেও কি অসাধারন ব্যাটিং করেছেন সাকিব, অভিষেক হওয়া তাওহিদ হৃদয় আর অভিজ্ঞ মুশফিক। তারা দেখিয়ে দিয়েছেন, ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে আমরা আরও স্বচ্ছন্দে খেলতে পারি। ইচ্ছেমত বাহারি, চটকদার মার মেরে রান চাঁকা সচল করার পর্যাপ্ত সামর্থ রাখি।’