স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা যৌতুকের জন্য নির্যাতনের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন গায়ক ইলিয়াস হোসাইন। বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদারের মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ইলিয়াস।
আদালত আগামী ২ মার্চ বাদীর উপস্থিতিতে জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইশতিয়াক আলম এ তথ্য জানান।এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন ইলিয়াস। জানা গেছে, জামিনের মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ায় বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন ইলিয়াস হোসাইন।
গত ৩ জানুয়ারী বনানী থানায় মামলাটি করেন সুবহা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয়। এরপর তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হয়নি। এরমধ্যে সুবহা জানতে পারে ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে রয়েছে এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনাবাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ীর জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকার জন্য চাপ দেয়। এনিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চায়। এ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ইলিয়াস সুবহাকে কিল-ঘুষি-লাথি ও চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে জখম করে।
এরপর ইলিয়াস সুবহাকে ব্যথার ওষুধ বলে অন্য ওষুধ খাওয়ায়। কিছুক্ষণ পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে যান। এ সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এদিকে সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলানিউজ