সুবীর নন্দীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

দেখতে দেখতেই কেটে গেলো তিন বছর। এই দিনেই না ফেরার দেশে পাড়ি জমান একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী। ঢাকা ও সিঙ্গাপুরে টানা ১৮ দিন হাসপাতালের বিছানায় নিথর হয়ে পড়েছিলেন নন্দিত এ গায়ক। এরপর ২০১৯ সালের ৭ মে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।

প্রিয় এই শিল্পীকে আজকের এই দিনটিতে মনে করেছেন তার প্রিয়জনরা। ফেসবুকে সুবীর নন্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অনেকেই।

১৯৫৩ সালের ৩০ নভেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার নন্দীপাড়ায় এক সভ্রান্ত সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন সুবীর নন্দী। সংগীত অঙ্গনে চার দশকের ক্যারিয়ারে সুবীর নন্দী আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন। স্বীকৃতি হিসেবে পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। পুরস্কারপ্রাপ্ত সেসব চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে— মহানায়ক (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও মহুয়া সুন্দরী (২০১৫)।

সুবীর নন্দী গানের পাশাপাশি ব্যাংকে চাকরি করেছেন। বেতার থেকে টেলিভিশন, তারপর চলচ্চিত্রেও উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। সিনেমায় তিনি প্রথম প্লেব্যাক করেন ১৯৭৬ সালে সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রে। ’৮১-তে প্রকাশ পায় তার প্রথম অ্যালবাম সুবীর নন্দীর গান। সংগীতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার সুবীর নন্দীকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

বরেণ্য এই সংগীতশিল্পীর কণ্ঠ দেওয়া ‘দিন যায় কথা থাকে’, ‘পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই’, ‘হাজার মনের কাছে প্রশ্ন রেখে’, ‘বন্ধু তোর বরাত নিয়া’, ‘কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো’, ‘বন্ধু হতে চেয়ে তোমার’, ‘আমার এ দুটি চোখ পাথর তো নয়’, ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’ ‘পাহাড়ের কান্না দেখে’, ‘একটা ছিল সোনার কইন্যা’, ‘আমি বৃষ্টির কাছ থেকে কাঁদতে শিখেছি’- এরকম আরও অসংখ্য গান আজও শ্রোতাদের মুখে মুখে।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × two =