স্মার্টওয়াচের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গ্যাজেট নির্মাতা সংস্থাগুলো একের পর এক স্মার্টওয়াচ আনছে বাজারে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাক্ষণ আপনার স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবে স্মার্টওয়াচ। দিনে কতক্ষণ হাঁটলেন, কতক্ষণ ঘুমালেন, কতটুকু পানি খেয়েছেন, সব কিছুর উপরেই নজর রাখবে স্মার্টওয়াচগুলো।
এমনকি স্মার্টওয়াচে 24×7 হার্ট রেট মনিটর, ব্লাড অক্সিজেন সেন্সর, মেয়েদের জন্য পিরিয়ড সাইকেল ট্র্যাকার, স্লিপ মনিটর, ব্লাড প্রেসার মনিটর, ব্রেথ ট্রেইনার এবং অ্যাক্টিভিটি ট্র্যাকার দেওয়া হয়েছে স্মার্টওয়াচে। তবে যে স্মার্টওয়াচ আপনার এত খেয়াল রাখছে তাকেই অযত্নে ফেলে রাখছেন অনেকে। ঠিকমতো যত্ন না নিলে এবং সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার না করলে সাধের স্মার্টওয়াচ বেশিদিন ব্যবহার করতে পারবেন না। বিশেষ করে ভুল পদ্ধতিতে ব্যবহারের ফলে স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
আসুন জেনে নেওয়া যাক স্মার্টওয়াচের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার কিছু কৌশল-
>> স্মার্টওয়াচ অনেকদিন ভালো রাখতে এর ব্যাটারির দিকে নজর দিন। সঠিক পদ্ধতিতে চার্জ দিন। অতিরিক্ত চার্জ যেমন স্মার্টওয়াচের ক্ষতি করতে পারে তেমনি ব্যাটারি একেবারে ০% হওয়ার পর চার্জ দেওয়াও ক্ষতির কারণ হতে পারে।
>> স্মার্টফোনের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন। আলোর সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করে রাখুন স্মার্টওয়াচের ব্রাইটনেস। যেমনটা স্মার্টফোনের বেলায় করে থাকি।
>> নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখুন। জরুরি বার্তা ছাড়া অন্যান্য অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখতে পারেন। এতে স্মার্টওয়াচের চার্জ দ্রুত শেষ হবে না।
>> সারাক্ষণ ডিসপ্লে অন করে রাখবেন না। অথবা ফেস অ্যাপও বন্ধ করে রাখুন। এতে ফেস শনাক্ত করে স্মার্টওয়াচ অন হবে না। তাতে চার্জ ফুরাবে কম এবং ব্যাটারির উপর চাপও পড়বে কম।
>> ব্লুটুথ এবং ওয়াই-ফাই বন্ধ করুন। স্মার্টওয়াচের অনেক বৈশিষ্ট্যের জন্য ব্লুটুথ বা ওয়াই-ফাই অ্যাক্সেস প্রয়োজন। তবে প্রয়োজন না হলে এই অ্যাক্সেসগুলো বন্ধ রাখুন।
>> পাওয়ার সেভিং মোড ব্যবহার করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটিংসকে কম পাওয়ার ব্যবহার করার জন্য অপ্টিমাইজ করে। ফলে স্মার্টওয়াচের ব্যাটারির আয়ু কমে অনেক ধীরে।
>> অ্যাপস আনইনস্টল করুন। অনেক বেশি অ্যাপ ইন্সটল করলে স্মার্টওয়াচের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। অ্যাপগুলো ব্যাকগ্রাউন্ডে চললে এটি পাওয়ার খরচও বাড়াতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো আনইন্সটল করুন।
সূত্র: মেক ইউজ অব