সালেক সুফী
২০২৩ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা দল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে কাল চেন্নাই চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে ১ উইকেটে পরাজয় বরণ করেছে পাকিস্তান। ৬ খেলায় ৫ জয় নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা এখন তালিকার শীর্ষে. ফাইনাল খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে। দিকে শুন্য হাতে দেশে ফেরার পরিস্থিতি পাকিস্তানের। কিছুটা ধীর গতির চেন্নাই উইকেটে কাল স্পিন ধরছিল। টস জয় করে পাকিস্তান ২৭০ রানের পুঁজি গড়েছিল। অনেকের মতে উইকেট ,পরিবেশ এবং প্রতিপক্ষ অনুযায়ী ৩০ রান কম করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এই পুঁজি নিয়েও তীব্র লড়াই করে পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৭.২ ওভারে ২৭১/৯ করে ১ উইকেটে জয় পায়। টুর্নামেন্টে টিকে থাকার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায় পাকিস্তানের। ব্যাট বলের এমন তীব্র লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকে ক্রিকেট প্রেমীরা। এবারের বিশ্ব কাপে এমন লড়াই কাল প্রথম হয়েছে।
বলেছি কাল উইকেট ছিল অপেক্ষাকৃত ধীর গতির। বল সহজে ব্যাটে আসছিলো না. কিছুটা টার্ন এবং বাউন্স ছিল. তবুও পাকিস্তানের সাউদ শাকিল (৫২) , বাবার আজম (৫০) , শাদাব খান ( ৪৩) , মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩১) , মোহাম্মদ নওয়াজ ( ২৪) সূচনা পেয়েছিলো। একজন বা দুজন ইনিংস বড় করলে পাকিস্তানের স্কোর ৩০০ ছাড়িয়ে যেতে পারতো। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা পাকিস্তানের স্কোর (২৭০) ধরা ছোয়ার সীমানায় রেখে দেয়। লেগ স্পিনার তাবরিজ শামসি ( ৪/৬০) কাল সুযোগ পেয়ে দলের হয়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে. মার্কো জানসেন (৩/৪৩) আর জেরাল্ড ( ২/৪২) উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে বল হাতে।
টুর্নামেন্ট জুড়ে অধিকাংশ ম্যাচে বিশাল স্কোর করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু অধিকাংশ বড় স্কোর করেছে আগে ব্যাটিং করে। টার্গেট তাড়া করে কেন যেন ওরা খেই হারিয়ে ফেলে। যেমন হেরেছিল নেদারল্যান্ডসের কাছে। কাল কিন্তু এইডেন মার্ক্রমের ( ৯১) চওড়া বাটে চড়ে দৃঢ়পদে এগিয়ে ছিল প্রোটিয়ানরা। কিন্তু ২৫০ রানে কালকের ম্যাচে আহত শাদাব খানের পরিবর্তে খেলা উসামা মীর মার্ক্রমের উইকেট তুলে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে চেপে ধরেছিলো পাকিস্তান। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিস্থিতিতে মাত্র ১৪ বল হাতে রেখে ১ উইকেটে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তীরে এসে তরী ডুবে পাকিস্তানের। এই পরাজয়ে পাকিস্তানের গ্রুপ পর্যায় থেকে ছিটকে পড়া অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়. সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ চারের দৌড়ে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করে। মারকরাম ছাড়াও ডেভিড মিলার ( ২৯), টেম্বা বাভুমা (২৮) ,কুইন্টন ডি কক (২৪) , রাসি ভান দার ডুসেন ( ২১) , মার্কো জেনসেন (২০) গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পাকিস্তানের হয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদি (৩/৪৫) , উসামা মীর ( ২/৪৫) , মোহাম্মদ ওয়াসিম (২/৫০) ,হারিস রউফ (২/৬২) সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। এবারের টুর্নামেন্টে কাল প্রথম একটি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই উপভোগ করে ক্রিকেট প্রেমীরা।