সালেক সুফী: ঠিক যেভাবে আয়ারল্যান্ডের বোলিং আক্রমণকে তুলোধুনা করছে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ সেটি ওদের শক্তিমত্তার প্রকৃত প্রতিচ্ছবি নয়। অবশ্যই ওদের ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা আছে। তাই বলে একটি পুরো আর একটি অর্ধেক ম্যাচে আমি বাংলাদেশের দাপুটে অর্জনকে খাটো করছি না। যখন একটি দল নিজেদের দক্ষতার সবটুকু নিয়ে একসঙ্গে জ্বলে ওঠে প্রতিপক্ষ তখন খেই হারিয়ে ফেলে।
খুদে ডাইনামো মুশফিকের ব্যাটিং টর্নেডোর পর বৃষ্টি বিঘ্নিত ১৮ মার্চের খেলাটিতে অনেকটা নিশ্চিত ভাবে সফরকারী দল প্রকৃতির সহায়তা পেয়েছে। কাল হয়তো পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আয়ারল্যান্ড প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেও পারে। এমনিতে আমি বাংলাদেশের সহজ সিরিজ জয় ছাড়া কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। তবুও বাংলাদেশ কোনো অবস্থায় কালকের ম্যাচ হালকা করে দেখবে তার সম্ভাবনা দেখি না।
আয়ারল্যান্ডের এই দলে কিন্তু কয়েকজন উঁচু মানের ব্যাটসম্যান আছে। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে আগেই ব্যাটিং করলে ওরাও কিন্তু ২৮০-৩০০ করতে সক্ষম। তবে বাংলাদেশের ভরসা অনেক উন্নত পেস বোলিং ইউনিট, ম্যাচ জয়ী বিশ্বমানের স্পিনার্স এবং বদলে যাওয়া উজ্জীবিত ফিল্ডিং।
হয়তো তামিমের ব্যাট নিজের মতো কথা বলছে না। কিন্তু একটি ইনিংস ওকে ফেরাবে রানে। সেটি হতে পারে কালকের ম্যাচেই। বাংলাদেশ কিন্তু আফিফকে ঢাকায় পাঠিয়ে ভুল করেছে। কাল কিন্তু ওকে টপ অর্ডারে শান্তকে বিশ্রামে রেখে খেলান যেত। বাংলাদেশের বিকল্প প্রয়োজন। শান্ত এই মুহূর্তে প্রমাণিত। আমি হৃদয়কে যত ম্যাচ পারা যায় খেলিয়ে দেখতে চাই।
বাংলাদেশ অবশ্যই টি২০ সিরিজে আফিফকে খেলাবে। সেই ক্ষেত্রে ওকে কাল খেলানোর সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ। টি২০ সিরিজে তামিম-মুশফিক থাকবে না। আয়ারল্যান্ড কিন্তু টি২০ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে।
হয়তো অনেকেই বলবেন মুশফিক পরিবর্তিত ৬ নাম্বার স্থানে ফিনিশারের নতুন দায়িত্বে মানিয়ে নিয়েছে। আমি তাদের সাথে দ্বিমত পোষণ করি। অভিজ্ঞ দলগুলোর বিরুদ্ধে পরিবর্তিত পরিবেশে অবশ্যই মুশফিককে ৪ বা ৫ নম্বরে খেলতে হবে। সেই ক্ষেত্রে হৃদয়কে ৬ নম্বরে পরীক্ষা করা যায়। দলের অভিজ্ঞ ফিনিশার হিসাবে মাহমুদুল্লার প্রয়োজন এখনো মিটে যায়নি। সুযোগ পেলে বাংলাদেশের প্রথম বোলিং করে দেখা উচিত দলটি কিভাবে টার্গেট তাড়া করে।
আমি মনে করি বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ শক্ত অবস্থানে আছে আরো একটি ওডিআই সিরিজ জয়ের।