আজ শনিবার ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে এই আর্টিস্ট ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে দেশের খ্যাতিমান নবীন-প্রবীণ প্রায় ৪০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে দশটায় স্মৃতিবিজড়িত ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়ক প্রাঙ্গনে দিনব্যাপী এই আর্টিস্ট ক্যাম্প শুরু হয়। যৌথভাবে এই ক্যাম্প উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুস, শিল্পী তরুণ ঘোষ, শিল্পী বিপদ ভঞ্জন সেন কর্মকার, শিল্পী রণজিত দাস প্রমুখ।
স্বাধীনতা শিল্পী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা এবং সদস্য সচিব আশরাফুল আলম পপলুর পরিচালনায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী মোহাম্মদ ইউনুস, শিল্পী রনজিৎ দাস, শিল্পী বিপদ ভঞ্জন সেন কর্মকার, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সাবেক পরিচালক শিল্পী জাহিদ মুস্তাফা, শিল্পী অধ্যাপক ড. দুলাল চন্দ্র গাইন।
দেশের খ্যাতিমান এই শিল্পীরা তাদের ক্যানভাসে তাদের মনের সকল ভালোবাসা দিয়ে, অর্ঘ্য দিয়ে এই ঐতিহাসিক স্থানে বঙ্গবন্ধুকে চিত্রিত করেন, ১৫ই আগস্টের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে তুলে ধরেন। এবং ‘৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের বিভীষিকাময় পরিবেশ বরেণ্য শিল্পীদের ক্যানভাসে উঠে আসে।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে যখন ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ড দিবস পালন করা হত তখন এখনকার মত এত সুযোগ-সুবিধা ছিল না, এত কর্মীও আমাদের ছিল না। তখন শিল্পী আশরাফুল আলম পপলু শিল্পীদের সংগঠিত করে ধানমন্ডি ৩২ নাম্বার বঙ্গবন্ধুর বাড়ির ভিতরে ১৫ই আগস্টের উপর প্রদর্শনী করত, কাগজে ছবি এঁকে এই প্রদর্শনী করা হতো। ৩২ নাম্বার বাড়ির ভিতরে সুপারি গাছের সঙ্গে ডেকোরেটরের সাদা কাপড় লাগিয়ে ছবির প্রদর্শনী করত, অনেক কষ্ট করে এসব করা হতো। আমার খুব ভালো লাগছে যে আশরাফুল আলম পপলু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে, ১৫ই আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার কাজের সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।
শিল্পীদেরকে তিনি ধন্যবাদ জানান এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান যে শিল্পীরা তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে, জাতির পিতার পরিবারকে, ১৫ ই আগস্ট হত্যাকাণ্ড তাদের ক্যানভাসে তুলে ধরছেন যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আগামী প্রজন্ম এখান থেকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারবে, জানতে পারবে ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে কি ভয়াবহ ঘটনা সেদিন ঘটেছিল!