১৬ বছর পর সেমিফাইনালে এসি মিলান

প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জয় পেয়েছিলে এসি মিলান। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফিরতি লেগে নাপোলির মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে। তাতে দুই লেগ মিলিয়ে নাপোলিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ষোলো বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে রোজোনেরিরা।

সবশেষ ২০০৭ সালে তারা সেমিফাইনালে উঠেছিল। সেবার তারা ট্রফিও জিতেছিল।

প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকা নাপোলি ফিরতি লেগে শুরু থেকেই মিলানের ওপর চাপ প্রয়োগ করে খেলছিল। গোল পেতে এক প্রকার মরিয়া হয়ে উঠছিল। কিন্তু তারা মিলানের রক্ষণ দেয়াল ভাঙতে পারেনি।

তারই মধ্যে ২২ মিনিটে পেনাল্টি পায় মিলান। এ সময় রাফায়েল লিয়াওকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন নাপোলির মারিও রুই। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। অবশ্য পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করতে পারেননি অলিভার জিরুড। তার নেওয়া নিচু শট ডাউভ দিয়ে ধরে ফেলেন নাপোলির গোলরক্ষক আলেক্স মেরেত।

তবে বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে গোলের দেখা পান জিরুড। ৪৩ মিনিটের মাথায় বামদিক থেকে রাফায়েল লিয়াওর বাড়িয়ে দেওয়া বল বাম পায়ের শটে ফাঁকা পোস্টে জড়ান জার্মানির এই ফরোয়ার্ড।

৮২ মিনিটে পেনাল্টি পায় নাপোলি। এ সময় মিলানের ফিকায়ো তোমোরি হ্যান্ডবল করে পেনাল্টি উপহার দেন নাপোলিকে। অবশ্য পেনাল্টি থেকে তারাও গোল করতে পারেনি। খিভচার নেওয়া শট ধরে ফেলেন মিলানের গোলরক্ষক মাইক মাইগনান।

শুরু থেকে গোলের খোঁজে থাকা নাপোলি শেষ মুহূর্তে পায় কাঙ্খিত গোলের দেখা। ৯০+৩ মিনিটের মাথায় কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে বল পেয়ে ক্রসে বক্সের মধ্যে বাড়িয়ে দেন নাপোলির গিয়াকোমা রাসপাদোরি। সেটাতে হেড নিয়ে জালে পাঠান ভিক্টর ওসিমহেন। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয় ম্যাচ। তাতে নাপোলিকে বিদায় করে এসি মিলান চলে যায় সেমিফাইনালে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fourteen − 14 =