পাকিস্তানকে হারিয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ

নারী ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের উদ্বোধনী আসরের ফাইনালে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ। হংকংয়ে মঙ্গলবার রোমাঞ্চকর সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানকে তারা হারায় ৬ রানে। শুরুতেই ব্যাটিং ধস। ১৬ রানে নেই ৬ উইকেট। সেখান থেকে দলকে টেনে তুললেন নাহিদা আক্তার। তার কার্যকর ইনিংসে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে লড়ার মতো পুঁজি গড়ল বাংলাদেশ। পরে বল হাতেও আলো ছড়ালেন তিনি। সঙ্গে বাকিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে অসাধারণ এক জয় তুলে নিল লতা মণ্ডলের দল।

টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্টে ছিল বিরূপ প্রকৃতির দাপট। টানা ৮ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর এদিন রিজার্ভ ডেতে শেষ চারের লড়াইয়েও ব্যতিক্রম হয়নি। ভেসে যায় ভারত ও শ্রীলঙ্কার মেয়েদের প্রথম সেমি-ফাইনাল। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালের খেলা শুরু হয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে।

৯ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৭ উইকেটে ৫৯ রান করে বাংলাদেশ। পরে বোলারদের সম্মিলিত চেষ্টায় পাকিস্তানকে তারা আটকে দেয় ৫৩ রানে। বাংলাদেশের জয়ের কারিগর নাহিদা ১ ছক্কা ও ৩ চারে ১৬ বলে করেন ২১ রান। পরে বাঁহাতি স্পিনে ৮ রানে ১ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনিই।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম ওভারেই তারা হারায় ৩ উইকেট! প্রথম বলে ফাতিমা সানাকে চার মেরে ম্যাচ শুরু করেন সাথি রানি। কিন্তু পরের বলেই বোল্ড এই ওপেনার। চতুর্থ বলে ফাতিমাকে ফিরতি ক্যাচ দেন সোবহানা মোস্তারি। পঞ্চম বলে পাকিস্তান পেসারের চমৎকার ইয়র্কারে বোল্ড লতা মণ্ডল।

মুর্শিদা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার ও দিলারা আক্তারও দ্রুত ফিরে যান ড্রেসিং রুমে। বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটারের কারো নামের পাশে নেই ৫ রানও। ব্যাটিং বিপর্যয়ে চরম চাপে পড়া দলকে টানেন নাহিদা। তাকে সঙ্গ দেন রাবেয়া খান। তাদের ৩৭ রানের জুটিতে পঞ্চাশ পার করে বাংলাদেশ, যেখানে অগ্রণী ছিলেন নাহিদা।

২০ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন রাবেয়া। ইনিংসের শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের রান আরেকটু বাড়ান সুলতানা খাতুন। বোলিংয়ে আঁটসাঁট শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে স্রেফ ২ রান দেন পেসার মারুফা আক্তার। কিন্তু পরের ওভারে সানজিদা আক্তারের ওপর ঝড় বইয়ে দেন আইমান ফাতিমা। ১ ছক্কা ও ২ চারে নেন ১৪ রান।

১ ছক্কা ও ২ চারে ১৮ রান করা আইমানকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রাবেয়া। নাহিদার শিকার আরেক ওপেনার শাওয়াল জুলফিকার। এরপর দ্রুত আরও দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন রাবেয়া ও মারুফা। পাকিস্তানকে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছে দিয়ে শেষ দিকে চেষ্টা চালান অধিনায়ক ফাতিমা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সফল হননি তিনি। শেষ ওভারে ১৩ রানের প্রয়োজনে সানজিদার হাতে বল তুলে দেন লতা। নিজের প্রথম ওভারে অকাতরে রান দেওয়া এই স্পিনার এবার করেন চমৎকার বোলিং। জয়ের উল্লাসে ভাসান পুরো দলকে।

ফাইনালে বুধবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

বিডি নিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × 1 =