গাজা হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. ইউনূস ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী হয়েও ড. ইউনূস ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞে নিশ্চুপ থেকে একজন ইসরায়েলির দেয়া পুরস্কার নিয়ে প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন এবং ইউনূস সেন্টার এটিকে ইউনেস্কোর পুরস্কার বলে মিথ্যাচার করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। খবর বাসস।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা ‘ড. ইউনূস একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার নিয়েছেন আর ইউনূস সেন্টার সেটিকে ইউনেস্কো পুরস্কার বলে মিথ্যাচার করছে’-উল্লেখ করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘আমি ড. ইউনূসের প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারে আমি বিস্ময়ে হতবাক। সম্প্রতি আজারবাইজানের বাকুতে একটি সম্মেলনে মিজ হেদভা সের নামে একজন ভাস্কর, যিনি ইসরায়েলি, তিনি ড. ইউনুসকে একটি পুরস্কার দিয়েছেন। এ সম্মেলনে ইউনেস্কো কোনোভাবে জড়িত ছিল, কিন্তু কোনোভাবেই এই পুরস্কার ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে তো নয়ই, একজন ব্যক্তির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। ইউনূস সেন্টার যেটিকে ইউনেস্কোর পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে বলে মিথ্যা ও অপপ্রচার করেছে। তবে এটি প্রথম নয়, এর আগেও এ ধরনের মিথ্যাচার ইউনূস সেন্টারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। কিন্তু গাজায় আজ নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হয়েছে। এটি নিয়ে তিনি একটি শব্দ উচ্চারণ করেননি বা প্রতিবাদ করেননি। বরং এই সময়ে তিনি একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এটির অর্থ কি এটিই নয় যে ড. ইউনূস প্রকারান্তরে গণহত্যায় সমর্থন দিয়েছেন! এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এ সময় ২৫ মার্চ মধ্যরাতে লালমনিরহাট ও ২৬ মার্চ ভোরে নওগাঁ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় বিজিবি’র মাধ্যমে প্রতিবাদ জানানো এবং সীমান্তে ফ্ল্যাগ মিটিংও হয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন অনেকদিন ধরেই আমরা ভারতের সাথে এ বিষয়টি আলোচনা করে আসছি। সম্প্রতি ভারত সফরেও এ বিষয়টি নিয়ে আমি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে গুরুত্বসহকারে আলোচনা করেছি। সেই প্রেক্ষিতে সীমান্তে এখন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নন-লেথাল বা প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। রাবার বুলেটে অনেকে আহত হয় কিন্তু প্রাণহানি কমে এসেছে। তবে আমাদের লক্ষ্য প্রাণহানিকে শূণ্যের কোঠায় নিয়ে আসা।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ’র নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার ও জাহজকে মুক্ত করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, ‘জাহাজ সম্পর্কে শুধু এটুকু বলতে চাই, নাবিকদের মুক্ত করার জন্য আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগে আছি। আমরা নানামুখী তৎপরতা চালাচ্ছি এবং আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা এবং জাহাজ উদ্ধার করা। আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।’

জাহাজে খাদ্য সংকট নিয়ে প্রশ্নে মন্ত্রী জানান, ওই জাহাজে খাদ্য সংকট নেই। এর আগে তিনমাস ধরে জলদস্যুদের কবলে থাকা অন্য জাহাজেও খাদ্য সংকট ছিল না, এখানেও নেই।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

thirteen + nine =