লন্ডনের চলচ্চিত্র উৎসবে ‘লতিকা’

লন্ডনের সম্মানজনক ডিভি চলচ্চিত্র উৎসবে অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘লতিকা’। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে এই স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক সামছুল ইসলাম স্বপন। আগামী ৭ জুলাই লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব কনটেম্পোরারি আর্টসের মঞ্চে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে। উৎসবটিতে বাংলাদেশের ‘লতিকা’ ছাড়াও প্রদর্শিত হবে নুহাশ হুমায়ূনের ‘মশারি’ এবং আসমা বিথির ‘দপ্রুঝিরি’ ও ধ্রুব দাসের ‘পোস্টার’।

‘লতিকা’র গল্পটি বাংলাদেশের নড়াইল জেলায় চিত্রা নদীর পাড়ে ঐতিহ্যবাহী মালো সম্প্রদায়ের এক সংগ্রামী নারী ও তাঁর পরিবারকে কেন্দ্র করে। তাঁর স্বামী শ্যাম বিশ্বাস ভোঁদড় দিয়ে মাছ শিকার করা জেলে। তাঁদের দুই সন্তান এবং তিন জোড়া ভোঁদড় প্রাণীকে নিয়ে তাঁদের টানাপোড়নের সংসারের বহমান জীবনচিত্র উঠে আসে।

নির্মাতা স্বপন জানিয়েছেন, এই উৎসবে চলচ্চিত্র ‘লতিকা’ প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হওয়াতে তিনি খুবই আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।

‘লতিকা’ এ বছর সুইজারল্যান্ডের ৫৫তম ভিশনস ডু রিয়েল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ফিল্ম মার্কেটে অফিশিয়াল ভাবে জায়গা করে নিয়েছিল। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যের ২৩তম ওয়াও-ওয়েলস ওয়ান ওয়ার্ল্ড চলচ্চিত্র উৎসব এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনী হয়েছে।

এই উৎসবে দক্ষিণ এশিয়ার ৪১টি পূর্ণদৈর্ঘ্যের ফিচার, স্বল্পদৈর্ঘ্য, প্রামাণ্যচিত্র, ফিকশন চলচ্চিত্র অফিশিয়াল সিলেকশন হয়েছে। সামছুল ইসলাম স্বপনের ‘লতিকা’র পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার ব্রেকথ্রু চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—কান চলচ্চিত্র উৎসব বিজয়ী পায়েল কাপাডিয়ার প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘আ নাইট অব নোইং নাথিং’, ইরাম পারভীন বিলালের ‘ওখরি’, কানন অরুনাসালামের ‘শ্রীলঙ্কান্স রেবেল ওয়াইফ’, রুভিন দে সিলভার ‘আ স্টেট ইন সাইলেন্স’, ভেনিস এবং সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হওয়া পুরস্কার বিজয়ী সিমাব গুলের ‘স্যান্ডস্টর্ম’ এবং অবিনাশ বিক্রম শাহের ‘লোরি’ এই উৎসবে প্রদর্শনী হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − one =