তাপ-স্পর্শ নিয়ে গবেষণা চিকিৎসায় নোবেল পেল

মানবদেহ কীভাবে স্নায়ুতন্ত্রের সাহায্যে স্পর্শের অনুভূতি এবং চাপ অনুভব করে; সেটি বোঝার জন্য রিসেপ্টর আবিষ্কারের গবেষণা করে এবারে চিকিসায় নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আর্ডেম পাতাপুতিয়ান ও ডেভিড জুলিয়াস। নোবেল কমিটি বলেছে, আমরা দৈনন্দিন জীবনে তাপমাত্রা, স্পর্শের মতো অনুভূতি স্বাভাবিকভাবেই গ্রহণ করি। কিন্তু কীভাবে স্নায়ুতন্ত্র তাপমাত্রা এবং চাপ অনুভব করে; সেই প্রশ্নের সমাধান করেছেন চলতি বছরের নোবেল পুরস্কার বিজয়ীরা।

সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট চিকিৎসা বিজ্ঞানে চলতি বছরের বিজয়ী হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেছে।

বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস মরিচে পাওয়া ক্যাপসাইসিন ব্যবহার করে এক ধরনের সেন্সরের উপস্থিতি প্রমাণ করেছেন, যা তাপমাত্রার প্রতি সংবেদনশীল এবং মানবদেহে তাপমাত্রার অনুভূতি দেয়। এই সেন্সর বা রিসেপ্টর টিআরপিভি১ নামে পরিচিত। মানবদেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গে ব্যথা এমনকি স্নায়বিক সমস্যার কারণে কোনও ব্যথা হলেও এই রিসেপ্টর শনাক্ত করে।

নোবেলজয়ী অপর বিজ্ঞানী আর্ডেম পাতাপুতিয়ান চাপ-সংবেদনশীল কোষ ব্যবহার করে এক ধরনের নতুন সেন্সর আবিষ্কার করেছেন; যা ত্বক এবং মানবদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উদ্দীপনায় সাড়া দেয়। তাদের এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের ফলে ব্যাপক গবেষণা কার্যক্রম শুরু হয়েছে; যার ফলে স্নায়ুতন্ত্র কীভাবে তাপ, ঠান্ডা এবং যান্ত্রিক উদ্দীপনা অনুভব করে তা দ্রুত বুঝতে পারে।

মানবদেহের বিভিন্ন ধরনের শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় এসব সেন্সরের কাজ নিয়ে গবেষণা চলছে। এসব গবেষণার ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার সমস্যাসহ নানা রোগের চিকিৎসা আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নোবেল পুরস্কারের ১ কোটি সুইডিশ ক্রোনার ভাগাভাগি করে নেবেন এ দুই বিজ্ঞানী।

ঢাকা পোস্ট

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

3 × 4 =