তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তৃতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ

সালেক সুফী

চট্টগ্রামের সাগর পাড়ে সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পাঁচ ম্যাচের টি২০ সিরিজের প্রথম তিনটি ম্যাচ জয় করে বাংলাদেশ দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় করেছে। প্রথম দুই ম্যাচে সহজ জয়ের পর কাল তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই মোকাবিলা করতে হয়। জিম্বাবুয়ে দলের লেজের দিকের ব্যাটসম্যানরা দারুন ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ শেষ বল পর্যন্ত নিয়ে যায়।  বাংলাদেশের ৫ উইকেটে করা ১৬৫ রানের জবাবে ১৫৬/৯ শেষ করে ৯ রানে হেরে যায় অতিথি দল।

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ে বাংলাদেশের। বলতেই হবে প্রতিটি ম্যাচেই ক্রমান্বয়ে উন্নতি করেছে অতিথি দল।  বাংলাদেশের ডেথ ওভার বোলিং কাল আদৌ কাঙ্ক্ষিত মানের হয়নি। ১৪.১ ওভারে ৮ উইকেট হারানো অতিথি দল ৯ম উইকেট জুটিতে ৫৪ রান যোগ করে জয়ের প্রান্তে পৌঁছে ছিল। শেষ দুই ম্যাচে ঢাকার মিরপুরে সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজ ফিরে আসলে হয়তো বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ আরো শাণিত হবে।

কাল উইকেট ছিল কিছুটা ধীর গতির। টস হেরে ব্যাটিং করা বাংলাদেশের টপ অর্ডার আবারো ব্যর্থ হয়। রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন কুমার দাস (১২) আবারো কাল ব্যর্থ হয়। অধিনায়ক নাজমুল শান্ত (৬) ব্যাট হাতে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছে।  তরুণ তানজিদ তামিম (২১) ভালো শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেনি। জানিনা লিটন সমস্যার সমাধান কোথায়। সময় হয়েছে তরুণ পারভেজ ইমনকে পরখ করে দেখার।

লিটন কবে ব্যার্থতার বৃত্ত থেকে বের হবে সেই অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। সৌভাগ্য মিডল অর্ডারে জ্বলজ্বলে ফর্মে আছে তাওহীদ হৃদয়। কাল হৃদয় (৫৭) জাকের আলীর (৪৪) গড়া চতুর্থ উইকেট জুটির  ৮৭ রান বাংলাদেশের ১৬৫/৫ ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। গোটা সিরিজ জুড়েই চমৎকার ব্যাটিং করছে হৃদয়। মিডল অর্ডারে ধীরে ধীরে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে জাকের আলী।

কাল বাংলাদেশ শরিফুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসানকে বিশ্রাম দিয়ে তানজিম সাকিব এবং তানভীর ইসলামকে সুযোগ দিয়েছিল। ১৪.১ ওভারে ৯১ রানে ৮ উইকেট তুলে দিয়ে বাংলাদেশ সহজ জয়ের পথে ছিল। কিন্তু ৯ম উইকেট জুটি ৫৪ রান তুলে নিয়ে জিম্বাবুয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশের ছয় বলার প্রত্যেকে উইকেট তুলে নিলেও কাল জয় পেতে বাংলাদেশকে ঘাম ঝরাতে হয়েছে।

শুরুর দিকে তাদিওনাশে মারুমানি ৩১ এবং শেষ দিকে ফারাজ আকরামের অপরাজিত ৩৪ দলকে ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছিল। সৌভাগ্য বাংলাদেশের টপ অর্ডারের কোন ব্যাটসম্যান শেষ দিকে ছিল না। ৯ রানে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে দুই ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ ৩-০ জিতে নিলো।

ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে সাকিব আল হাসান এবং মুস্তাফিজ ফিরে আসলে দলের ভারসাম্য আরো উন্নত হবে। বাংলাদেশকে অবশ্যই ওপেনিং এবং টপ অর্ডার ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে হবে। তরুণ পারভেজ ইমন অবশ্যই সুযোগ পাবার দাবিদার। সৌম্য সরকারকেও সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। সব মিলিয়ে বলবো বাংলাদেশকে প্রো একটিভ কৌশল নিতে হবে। দলে টিকে থাকতে হলে সবাইকেই পারফর্ম করতে হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twelve + 2 =