নজরুলের ইসলামি গান মধ্যপ্রাচ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করবে সরকার

কাজী নজরুল ইসলামের গান দেশে–বিদেশে ব্যাপকভাবে পরিচিত করার লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তাঁর ইসলামি গানগুলো মধ্যপ্রাচ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করাসহ আরও কিছু উদ্যোগের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

ত্রয়োদশতম রাধারমণ লোক সংগীত উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ।

আজ শুক্রবার বিকেল থেকে এ উৎসব শুরু হয়েছে। আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত চলবে দুই দিনব্যাপী এই আয়োজন। আয়োজনে বাংলার লোক সংস্কৃতি তুলে ধরবেন বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকশিল্পীরা।

রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে এ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এই উৎসবের স্লোগান ‘রাধারমণ কমপ্লেক্স নির্মাণ সময়ের দাবি’। বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি সচিব খলিল আহমদ তাঁর বক্তৃতায় শিগগির এটি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।

সংস্কৃতি সচিব বলেন, ‘আমরা ব্যাপকভাবে নজরুলের গানকে পরিচিত করতে পারিনি। এ কারণে একটি ট্যালেন্ট হান্টের আয়োজন করব। তাঁর ইসলামি গানগুলো মধ্যপ্রাচ্যে প্রচারের ব্যবস্থা করব। এসেনশিয়াল নজরুল নামে একটি প্রকল্প চলছে। একটি সংগীত মিউজিয়াম করারও পরিকল্পনা আছে।’

রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্রের আয়োজনে কেন্দ্রের সভাপতি মহমুদ সেলিমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়। বক্তব্য দেন কেন্দ্রের সহসভাপতি ঝুনা চৌধুরী। সঞ্চালনায় ছিলেন রুপা চক্রবর্তী।

দুই দিনব্যাপী উৎসবে রাধারমণ, সৈয়দ শাহনূর, হাসন রাজা, জালাল খাঁ, উকিল মুন্সী, মনমোহন দত্ত, শেখ ভানু, ফকির দীন হীন, শাহ আরকুম আলী, দীন শরৎ, শাহ আবদুল করিম, দুরবিন শাহ, কালা শাহ—এর গান ও বাণী পরিবেশিত হবে। উৎসবে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জায়গার শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। শুধু গানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না আয়োজন, থাকছে পিঠা উৎসবও। এ ছাড়া আজ শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ওই লৌহ কপাট’ গান ‘পিপ্পা’ ছবিতে বিকৃতভাবে উপস্থাপনের প্রতিবাদ জানানো হবে শুদ্ধস্বরে গানটি গেয়ে। গাইবেন বাংলাদেশ সংগীত সংগঠন সমন্বয় পরিষদ, রাধারমণ সংস্কৃতিচর্চা কেন্দ্র ও আমার একাত্তরের শিল্পীরা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × five =