বঙ্গবন্ধু, মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি আদর্শ, চেতনা ও দর্শনের নাম। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। তিনি নিজেই একটি ইতিহাস। তার আগমন ঘটেছিল মধুমতি আর ঘাগোর নদীর তীরে অবস্থিত অবারিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। নিভৃত পল্লীর ছায়া ঢাকা গাঁয়ে, কাশফুলের সুভ্রতার মোহমুগ্ধ বাঁকে, পাখির কলতানে মুখরিত নিকুঞ্জ আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই শিশু।

এক নিঃস্বার্থ মহীয়সী জননীর কোল মহিমান্বিত করে টুঙ্গিপাড়া গ্রামকে আলোর কণায় পরিপূর্ণতা দিয়ে জন্ম নেয়া এ শিশুটির পরম আদরের নাম ‘খোকা’। টুঙ্গিপাড়া গ্রামের প্রতিটি পথ-প্রান্তর যেন তাকে চেনে। সে গাঁয়ের মাটির সঙ্গে যেন তার পরম আত্মীয়তার সম্পর্ক। মধুমতি নদীতে সাঁতার কেটেই কেটেছে তার দুরন্ত শৈশব। সে শিশুর পায়ের আলতো স্পর্শে যেন ধন্য হয়েছে এ গাঁয়ের মাটির কণা। মাটিও যেন তাকে ভালোবাসে অকুণ্ঠচিত্তে। এ গাঁয়ের বাতাসে বিকশিত হয়েছে তার প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।

বায়ুর কোমল পরশ শরীর ভেদ করে মর্মে জাগিয়েছে পরম দেশপ্রেম, দেশের মানুষের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, হৃদয়ে জাগিয়েছে বলিষ্ঠ শপথে শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার ঐকান্তিক চেতনা ও প্রেরণা। তাই তো নিজের জীবন বিপন্ন করে বাঙালি জাতির জন্য এনে দিয়েছেন মহান স্বাধীনতার ঐতিহাসিক সফলতা। কেই বা জানত এ শিশুটি একদিন হয়ে উঠবেন বিশ্ব ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক সুমহান অংশ! জন্মভূমির মানুষের কাছে অতি আদরের খোকা ছিলেন সদাচঞ্চল ও দুরন্ত এক তরুণ।

খোকা (শেখ মুজিবুর রহমান) নামক এ শিশুটি ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সম্ভ্রান্ত মুসলিম শেখ পরিবারে শেখ লুৎফর রহমান ও সায়েরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন। খোকার পুরোনাম শেখ মুজিবুর রহমান। অতঃপর টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিবুর রহমান দেশের গণ্ডি পেরিয়ে হয়ে ওঠেন বিশ্ব ইতিহাসের কিংবদন্তি মহানায়ক ও মহাপুরুষ।

কালের পরিক্রমায় তিনিই হয়ে ওঠেন ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘বিশ্ববন্ধু’। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্ম নেয়া খোকার বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে অদম্য ত্যাগ, অকুতোভয় নেতৃত্ব আর গভীর দেশপ্রেম। পিছিয়ে পড়া বাঙালি জনগোষ্ঠীর দায়িত্ব নেয়ার মতো মহৎ গুণ হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন শৈশব থেকেই। মুষ্টির চাল উঠিয়ে গরিব ছেলেদের বই এবং পরীক্ষার খরচ বহন করা, সর্বোপরি আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। সেদিনের ছোট্ট খোকা বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠেছিলেন অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে।

স্বাধীনতার জন্য তিনি এ বাংলার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। প্রতিটি বাঙালির কাছে পৌঁছে দিয়েছেন পরাধীনতার নিগড় থেকে মুক্ত হওয়ার মর্মবাণী। শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবন ১৯৩৯ সালে শুরু হলেও ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাজন-পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তানের রাজনীতিতে তিনি একজন প্রখ্যাত তরুণ ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮-এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন শেখ মুজিবুর রহমান।

আর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরদিন ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক বিশাল জনসভায় তৎকালীন ছাত্রনেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাঙালির বঙ্গবন্ধু নয়, তিনি বিশ্ববরেণ্য রাজনীতিক ‘বিশ্ববন্ধু’ উপাধিতেও বিশ্বনন্দিত। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠত্ব হল তিনি শুধু বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের একজন স্বপ্নদ্রষ্টাই ছিলেন না, তিনি বাঙালি জাতিকে অনন্যসাধারণ ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে হাজার বছরের বাঙালি জাতির স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানের এক জনসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়ে জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করেন।

বঙ্গবন্ধুর আগে ও পরে বহু খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ এসেছেন; কিন্তু এমন করে কেউ বাঙালিকে জাগাতে পারেননি। বঙ্গবন্ধু তার নেতৃত্বের সম্মোহনী শক্তির এক জাদুকরী স্পর্শে ঘুমন্ত ও পদানত বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তুলে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্দীপ্ত করেছিলেন। অতঃপর বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে পরাধীনতার গ্লানি থেকে জাতিকে মুক্ত করে তিনি এনে দিয়েছেন রক্তিম লাল-সবুজের পতাকা খচিত স্বাধীন সার্বভৌম এক বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি ছিল তার অকৃত্রিম ভালোবাসা।

তাই তো ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্ট (১৯৭২ সালের এক সাক্ষাৎকারে) বঙ্গবন্ধুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার শক্তি কোথায়?’ তিনি অপকটে সে প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘আমি আমার জনগণকে ভালোবাসি।’ সাংবাদিক আবারও জিজ্ঞাসা করলেন, আপনার দুর্বল দিকটা কী? বঙ্গবন্ধু সে প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, আমি আমার জনগণকে খুব বেশি ভালোবাসি।’ তাই তিনি কখনই মনে করেননি যে, এ বাঙালিই একদিন তাকে হত্যা করবে। তিনি চেয়েছিলেন তার এ বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করবেন।

কিন্তু ঘাতকের সেই নির্মম বুলেটের আঘাত তার স্বপ্নকে নস্যাৎ করে দিয়েছিল। ১৯৭৫-পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে স্বৈরশাসক ও স্বাধীনতাবিরোধীদের দ্বারা এ দেশ শাসিত হওয়ায় সেই সময় বাংলাদেশের অগ্রগতি তো দূরের কথা, তারা সমগ্র বাংলাদেশকে ভয়াবহ সংকট ও ঝুঁকির মধ্যে নিমজ্জিত করে রেখেছিল। ফলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন বিঘ্নিত হয়েছে বারবার। তারই ফলে জাতির পিতার স্বপ্নের সেই সোনার বাংলাদেশ গড়তেই তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হাল ধরেছেন শক্ত হাতে।

সেই সোনার বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মের শতবর্ষ পূর্ণ হবে ১৭ মার্চ, ২০২০ সালে। তাই বাংলাদেশ সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘এই স্বাধীন দেশে মানুষ যখন পেট ভরে খেতে পাবে, পাবে মর্যাদাপূর্ণ জীবন; তখনই শুধু এই লাখো শহীদের আত্মা তৃপ্তি পাবে।’ ফলে আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ ও মুজিববর্ষ তথা সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে মূল্যায়ন করার সময় এসেছে।

বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আমরা কতদূর এগিয়েছি তা তার জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষে সঠিকভাবে নিরীক্ষার মাধ্যমে মূল্যায়ন করা জরুরি। তাহলে আমরা আত্মবিশ্লেষণধর্মী, ক্রিয়াশীল, চিন্তাশীল ও অগ্রগামী জাতি হিসেবে আমাদের স্বকীয়তার প্রকাশ ও প্রসার ঘটিয়ে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে আত্মপ্রকাশ করতে পারব।

সৈয়দ শামসুল হক বলেছিলেন, ‘মানুষের ইতিহাসকে দুই-চার বছরের নিরিখে বিচার করো না। সামগ্রিকভাবে মানুষের ইতিহাস হলো এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস।’ তেমনি বাংলাদেশের ইতিহাসও এগিয়ে যাওয়ার ইতিহাস। অনেক বাধা-বিপত্তি ও চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গত ১১ বছরের শাসনামলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অগ্রগতিই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে অন্যতম মাইলফলক। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে বর্তমান সরকার দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে চলেছে।

বাংলাদেশ দারিদ্র্যের কঠিন শিলার স্তর পাড়ি দিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কে ধাবমান। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ব্যাপারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশ মাথাপিছু আয় ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সূচকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি করেছে। দারিদ্র্যের হার কমেছে এবং মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। খাদ্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন স্বাবলম্বী হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এ সময়ের বড় সাফল্য। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল মেগা প্রকল্প।

এ মেগা প্রকল্পগুলো হল পদ্মা বহুমুখী সেতু, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, ঢাকার মেট্রোরেল, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হয়ে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ এবং মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প। এ ১০ মেগা প্রকল্পের বাইরেও ২০৩০ সালের মধ্যে মোট ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইপিজেড) প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।

কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্থিক অগ্রগতি নিশ্চিত করতেই সরকার মেগা প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে। বেকারত্ব, ক্ষুধা ও দারিদ্র্য সম্পূর্ণরূপে দূরীভূত হবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অর্জন ও সাফল্য অনেক। বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন অবশ্যই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা কেবল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেই সীমাবদ্ধ নয়; বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলাদেশ’-এর অর্থ ব্যাপক। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে অবশ্যই সোনার মানুষ তৈরি করা অতীব জরুরি। সোনার মানুষ বলতে বোঝায় সৎ, আদর্শবান, নিঃস্বার্থ, নির্লোভ, নির্মোহ, নিরহঙ্কার ও নির্ভীক এবং মাধুর্যসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হলে এখন নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন সোনার মানুষ গঠনের প্রতি মনোনিবেশ করা একান্ত প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিবর্জিত ব্যক্তিরাই দেশ এবং সরকারের অর্জন ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলেছে। তাই নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন জাতি গঠনের লক্ষ্যে পরিবার, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রকৃত সুশিক্ষা প্রয়োজন, যা মনোজগতের বিকাশ সাধনের মাধ্যমে বিবেকবোধ জাগ্রত করে উন্নত চরিত্র গঠন করতে পারে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন ব্যক্তিত্বই হল আগামীর সোনার বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।

আসাদুজ্জামান : গবেষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

4 × 5 =