বিপাশাও গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ শুনেছেন

বিপাশা বসুর  বলিউডে ২০ বছর পূর্ণ হলো। সেই উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসকে  জানালেন, একটা সময় ছিল যখন তাকে সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরেও যেতে দেওয়া হতো না। এতে নাকি তিনি আরও কালো হয়ে যাবেন। জানালেন, তাকে এমন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, যেখানে তাকে নিয়মিত পোশাক নিয়েও কথা শুনতে হয়েছিল। বোহেমিয়ান থেকে আবেদনময়ী, গায়ের রঙ নিয়ে অহেতুক পরামর্শ—বলিউডে ঢোকার পর নানাভাবেই হেনস্তার শিকার হয়েছেন বিপাশা। দুই দশকে কখনও তেমন একটা অভিযোগ করতে দেখা যায়নি তাকে।

“এটা তখনকার কথা, যখন আমি আমার প্রথম হেয়ার-স্টাইলিস্ট কৌশলের সঙ্গে দেখা করি। সেও আমাকে নায়িকা হওয়ার ‘নিয়ম’ শিখিয়েছিল। সে বললো, জনসম্মুখে না গিয়ে আমি যেন আড়ালে থাকি।’’ কিন্তু বিপাশা তা না করে আরও বেশি মানুষের সঙ্গে মিশতে শুরু করেন। এ কারণে পান বোহেমিয়ান উপাধি।‘এমনকি আমার করা চরিত্রগুলোও আমার মতো সাহসী, আবেদনময়ী এবং স্পষ্টভাষী ছিল’—জানালেন বিপাশা।

বয়স ৪২ হলেও আবেদন কিন্তু কমেনি। একসময় তাকে নিয়ে করা যাবতীয় প্রতিবেদনে ঘুরেফিরে গায়ের রঙটাই উঠে আসতো। তারপর যুক্ত হয় আবেদনময়ী শব্দটি। এ কারণেও বিপাশা অন্যদের চেয়ে খানিকটা আলাদা হয়ে পড়েন। তবে ২০ বছরের ক্যারিয়ার নিয়ে যোগে-বিয়োগে তুষ্ট বিপাশা।

সুইজারল্যান্ডে ‘আজনবি’র শুটিংয়ের এক ঘটনা। আইস টি খাওয়ার সময় তার হেয়ারস্টাইলিস্ট এসে তাকে বললো, ‘সবাই ভাবছেন যে আপনি হুইস্কি পান করছেন।’ তারপর সে তাকে পরামর্শ দেয়, তিনি যেন চা বা জুস কাপে নিয়ে খান। আরেক দিন একটা ব্যাকলেস ব্লাউজ পরে থাকায় তাকে বলা হয়, ‘অভিনেত্রীরা কেবল পর্দায় এমন পোশাক পরেন, বাস্তবে না।’

বিপাশা জানান, তখন থেকেই তার মনে হয়েছিল ওই সব পরামর্শ তার ব্যক্তিত্বের সঙ্গে যায় না। এসব স্রেফ ভণ্ডামি। তিনি নিন্দুকদের কাছে জানতে চান, ‘আপনি স্বাভাবিক জীবনে যা পরতে পারেন না, সেটা কীভাবে পর্দায় পরছেন?’

বিপাশা আরও জানান, অভিনেতা করন সিং গ্রোভারকে বিয়ে করার আগে শুটিং স্পটে তিনি জানিয়ে রেখেছিলেন যে তার প্রেমিক সেটে আসছে। এটাও সবাইকে বেশ বিচলিত করেছিল। কারণ, তাদের মনে হয়েছিল এটা যেন একটা নিষিদ্ধ ব্যাপার। ‘আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কেন আপনি আপনার প্রেমিকের কথা বলছেন? এটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি বললাম, আমি আমার প্রেমিকের জন্য লজ্জিত নই। তাকে আড়াল করারও দরকার দেখি না’—বললেন বিপাশা।

বলিউডে ২০ বছর পূর্ণ করার পর, বিপাশা তার প্রথম পরিচালক আব্বাস মাস্তানকে ধন্যবাদ দেন। এটাও জানালেন, শিগগিরই পর্দায় আবার তাকে দেখা যাবে।

বাংলা ট্রিবিউন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

three × three =