সুচিত্রা মিত্রের জন্মদিন আজ

প্রথিতযশা ও স্বনামধন্য ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী সুচিত্রা মিত্রের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯২৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর ঝাড়খণ্ডের ডিহিরী জংশন লাইনে শালবন ঘেরা গুঝাণ্টি নামে একটি রেলস্টেশনের কাছে, ট্রেনের কামরায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মাতার চতুর্থ সন্তান সুচিত্রা মিত্র ছিলেন রবীন্দ্রসংগীতের একজন অগ্রগণ্য গায়িকা ও বিশেষজ্ঞ।

রবীন্দ্রসঙ্গীতকে যে চার কিংবদন্তী শিল্পী সারা বিশ্বে এক অনন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম সুচিত্রা মিত্র। নিজের গানের গায়নে একধরনের রূপের সম্পূর্ণতার আকাঙ্খা করতেন বিশ্বকবি। সেই আকাঙ্খার চরিতার্থতা পেয়েছিলেন সুচিত্রা মিত্র।

ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী একবার বলেছিলেন, ‘সুচিত্রার কণ্ঠে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলোরে’ শুনে আমি একলা চলার প্রেরণা পাই।’

সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকারের শ্রেষ্ঠ স্বীকৃতি ‘পদ্মশ্রী’ এবং বিশ্বভারতীর ‘দেশকোত্তম’ পুরস্কারে ভূষিত হন সুচিত্রা মিত্র। পেয়েছেন এইচএমভি’র গোল্ডেন ডিস্ক এওয়ার্ড। ১৯৪৬ সালে দ্বিজেন চৌধুরীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠা করেন রবিতীর্থ। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘকাল। রবিতীর্থ পাশ্চাত্যে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছে। রবীন্দ্রসঙ্গীত বিষয়ে তার লেখা বেশ কয়েকটি বইও আছে।

তিনি শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীত জনপ্রিয় করেননি, মানুষ যাতে রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনে এমন একটা আবহ তৈরি করেছিলেন। এখানেই তার শ্রেষ্ঠত্ব। শব্দের সঙ্গে ভাবের মুগ্ধ সমন্বয় ছিল তার কণ্ঠে। বিশেষ করে ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’, ‘আনন্দলোক মঙ্গলালোকে’, ‘আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে’, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানগুলি তার গলায় বারবার শুনতে ইচ্ছে হয়। রবীন্দ্রনাথের গানই ছিল তার অন্তরের উৎস।

একুশে টেলিভিশন

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

fifteen − 11 =