সুরের মূর্ছনা ও নূপুরের নিক্বণে বিনিদ্র রাত

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকার খেয়ালে পরিবেশন করেন কেদার রাগ। তিনি খেয়াল গায়কিতে তিন প্রধান ঘরানার কণ্ঠশিল্পী। গোয়ালিয়র, কিরন এবং জয়পুর এই তিন মৌলিক ঘরানার ওপর তিনি প্রশিক্ষণ নেন। ফলে তার পরিবেশনায় তিন ঘরানার মিশেলে রয়েছে এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য।

বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকারের জন্ম ১৯৪৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, ভারতের পুনেতে। তিনি বেড়ে ওঠেন এক সঙ্গীতময় পরিবেশে। দাদু কানেবুভার কাছে সঙ্গীতে তার প্রথম হাতেখড়ি। এরপর পণ্ডিত গঙ্গাধারবুভা পিম্পালখারের কাছে তালিম নেন। পরবর্তীতে মঘুবাই কুর্দিকার এবং গজাননরাও জোশির কাছেও সঙ্গীতে দীক্ষা নেন। ভুলাভাই মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকে পেয়েছেন পাঁচ বছরের স্কলারশিপ। ন্যাশনাল সেন্টার থেকে পেয়েছেন দু’বছরের ফেলোশিপ। এছাড়া সঙ্গীতে পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। এসব পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে নাটক একাডেমি পুরস্কার, রাঝানস প্রতিষ্ঠান পুরস্কার, শ্রীমতি ভাত সালাবাই ভিমসেন জোশি পুরস্কার, পণ্ডিত যশরাজ পুরস্কার। বিখ্যাত তবলাবাদক সুরেশ তালওয়ালকারের সহধর্মিণী তিনি। তাদের দুই সন্তান। ছেলে সত্যজিৎ তালওয়ালকার এবং মেয়ে সাভানী তালওয়ালকার দু’জনেই তবলাবাদক।

খুব ভালো লাগল -বিদুষী কলা রামনাথ

‘গায়কী অঙ্গে’ বিদুষী কলা রামনাথ প্রথমে পরিবেশন করেন রাগ নট ভৈরব। পরবর্তীতে পরিবেশন করেন ছোট রাগ বসন্ত। তার বেহালার সুরে কণ্ঠ নিঃসৃত গানের মাদকতা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি মেওয়াতি ঘরানার বেহালাবাদক। পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে বিদুষী কলা রামনাথ বলেন, বাংলাদেশে এটি আমার প্রথম একক পরিবেশনা। সাত প্রজন্ম ধরে আমরা বেহালা বাজাচ্ছি। এখানে বাজাতে খুব ভালো লাগল।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

eighteen − fourteen =