সৌদির উৎসবে বাংলাদেশের ‘সাবা’

২০১৮ সালে নাটক-সিনেমা থেকে সাড়ে তিন দশকের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সৌদি আরবের সিনেমা হলগুলোতে ক্রমাগত বাড়ছে দর্শকের ঢল। সিনেমার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। তিন বছর ধরে আয়োজন করা হচ্ছে রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। সারা বিশ্বের খ্যাতিমান নির্মাতারা তাঁদের সিনেমা নিয়ে আসছেন উৎসবে। আগামী ৫ ডিসেম্বর জেদ্দায় শুরু হচ্ছে উৎসবের চতুর্থ আসর। এবার এ উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘সাবা’। এটি মেহজাবীন চৌধুরী অভিনীত প্রথম সিনেমা। বানিয়েছেন মাকসুদ হোসেন।

রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে সাবা। এই বিভাগে বিভিন্ন দেশের ১৫টি সিনেমা স্থান পেয়েছে। গতকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

শহরের মধ্যবিত্ত একটি পরিবার। বাবা গত হয়েছেন। মা শিরিন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিছানায়। হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মেয়ে সাবা। পরিবার আর মায়ের সেবায় নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে উঠতে পারেনি সাবা। অর্থের টানাটানিতে দিনরাত এক করে মাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা তার। হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় সাবার মা শিরিনের। চিকিৎসক জানান, অপারেশন করতে হবে। দিশেহারা সাবার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। কীভাবে বাঁচাবে মাকে? এমন গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে মাকসুদ হোসেনের সিনেমা সাবা।

গত সেপ্টেম্বরে টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয় সাবার। এরপর অক্টোবরে ২৯তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আ উইন্ডো অন এশিয়ান সিনেমা’ বিভাগে প্রদর্শিত হয় এটি। আরও অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনওয়ার, রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।

নির্মাতা জানিয়েছেন, সাবা হতে যাচ্ছে সৌদি আরবের রেড সি চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের প্রথম সিনেমা। নির্মাতা মাকসুদ হোসেন, অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীসহ সিনেমার কয়েকজন কলাকুশলীর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে উৎসবে।

এদিকে ১৩ নভেম্বর থেকে মিসরে শুরু হতে যাওয়া ৪৫তম কায়রো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শিত হবে মেহজাবীনের আরেক সিনেমা ‘প্রিয় মালতী’। এ সিনেমা দিয়ে বড় পর্দার পরিচালক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে শঙ্খ দাশগুপ্তর।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

1 × 3 =