১৯ বলে জিতে সুপার এইটের দৌড়ে টিকে থাকলো ইংল্যান্ড

বোলারদের দারুন পারফরমেন্সে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে খেলার দৌড়ে টিকে আছে  বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। অ্যান্টিগা থেকে বাসস

গতরাতে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে হারিয়েছে ওমানকে। প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ডের বোলিং তোপে ৪৭ রানে অলআউট হয় ওমান। ৪৮ রানের টার্গেট ১৯ বল খেলেই স্পর্শ করে রান রেটে বাড়িয়ে নিয়েছে ইংলিশরা। ১০১ বল রেখে ম্যাচ শেষ করায় বিশ্বকাপে দ্রুততম জয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে জশ বাটলারের দল।

এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে উঠলো ইংলিশরা। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে আছে স্কটল্যান্ড। ৩ ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।  গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে সুপার এইটে খেলার দৌড়ে আছে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। গ্রুপের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্কটল্যান্ড হারলে এবং নামিবিয়ার বিপক্ষে জিতলেই সুপার এইটের টিকিট পাবে ইংল্যান্ড।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠ অ্যান্টিগায় টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রান তোলে ওমান। ষষ্ঠ ওভার থেকে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ওমানের ব্যাটিং লাইন-আপ। ১৩ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ৪৭ রানে অলআউট হয় ওমান। ২৩ রানে শেষ ৮ উইকেট হারায় তারা। বিশ^কাপে এটি চতুর্থ সর্বনিম্ন দলীয় রান। এই ভেন্যুতে টি-টোয়েন্টিতে এটিই সর্বনিম্ন রান।

ওমানের পক্ষে মাত্র একজন ব্যাটার দুই অংকে পা রাখতে পারেন। সাত নম্বরে নামা শোয়েব খান ২৩ বলে ১১ রান করেন। ইংল্যান্ডের স্পিনার আদিল রশিদ ১১ রানে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া দুই পেসার জোফরা আর্চার ও মার্ক উড ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম কোন দলের তিন বোলার তিন বা তার বেশি উইকেট শিকার করলো।

৪৮ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ওমানের পেসার বিলাল খানের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম দুই বলেই ছক্কা মেরে বিশ^ রেকর্ডের জন্ম দেন ইংল্যান্ডের ওপেনার ফিল সল্ট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই প্রথম কোন ব্যাটার ইনিংসের প্রথম দুই বলে দু’টি ছক্কা মারলেন। তবে তৃতীয় বলেই বিলাল খানের শিকার হন ১২ রান করা সল্ট।

সল্টের পর, ৫ রানে আউট হন উইল জ্যাকস। তৃতীয় উইকেটে জনি বেয়ারস্টোকে নিয়ে দ্রুত ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেন বাটলার। বিলালের করা তৃতীয় ওভারে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ রান নেন বাটলার।

শেষ পর্যন্ত ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮ বলে বাটলার ২৪ ও বেয়ারস্টো ২টি চারে ২ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরা হন টি-টোয়েন্টির এক নম্বর বোলার ইংল্যান্ডের রশিদ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

ওমান : ৪৭/১০, ১৩.২ ওভার (শোয়েব ১১, প্রজাপতি ৯, রশিদ ৪/১১)।

ইংল্যান্ড : ৫০/২, ৩.১ ওভার (বাটলার ২৪*, সল্ট ১২, কলিমুল্লাহ ১/১০)।

ফল : ইংল্যান্ড ৮ উইকেটে জয়ী।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

nineteen − three =