এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য বিশেষ নির্দেশনা

পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এবারও কোনো ধরনের মুখোশ পরা যাবে না। কোনো ব্যাগও বহন করা যাবে না। চারুকলা অনুষদের বানানো মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে। এছাড়া ভুভুজেলা বাজানো ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। শোভাযাত্রা বের হবে সকাল ৯টায়। শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে আবার শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হবে শোভাযাত্রা ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত প্রবেশ করা যাবে। এরপর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি ঢুকতে পারবে না।

নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধু নীলক্ষেত মোড় ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নববর্ষের দিন রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসা ব্যক্তিরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশের জন্য চারুকলা অনুষদের বিপরীতে ছবির হাটের গেট, বাংলা অ্যাকাডেমির বিপরীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইট ও ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন।

টিএসসির সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম এবং অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এছাড়া হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশে-পাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট থাকবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

19 − 12 =