বার্বি ডল নিয়ে অজানা তথ্য

বার্বি নামটি শুনলেই মাথায় আসে গোলাপি রঙের জামা পরিধান করা একটি মেয়ে। কয়েক প্রজন্মের প্রিয় পুতুল চরিত্র বার্বি। মেয়েদের ছোটবেলার খেলার অন্যতম সঙ্গী বার্বি পুতুল। সম্প্রতি হলিউডের ‘বার্বি’ সিনেমা মুক্তির পর চারদিকে ‘বার্বি’র জয়জয়কার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে বার্বি ট্রেন্ড। বার্বি শুধু পুতুল হিসেবে নয় ঢুকে গেছে মানুষের ফ্যাশনের সঙ্গে। হলিউড থেকে বলিউড, ভারত থেকে বাংলাদেশের তারকারাও যুক্ত হয়েছেন এই ট্রেন্ডে। যার ফলে বার্বি পুতুল নিয়েও নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে সকলের মাঝে তুমুল আগ্রহ। এখন পর্যন্ত সারাবিশ্বে ১০০ কোটির বেশি বার্বি পুতুল বিক্রি হয়েছে। ২০২৩ সালে ৬৪ বছরে পা দিয়েছে বার্বি। গোলাম রাসূল শিশিরের প্রতিবেদনে বার্বির জানা-অজানা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

বার্বি পুতুলের স্রষ্টা রুথ হ্যান্ডলার

বার্বি পুতুলের স্রষ্টার নাম রুথ হ্যান্ডলার। তিনি নিজের মেয়ের জন্যে বার্বি পুতুল তৈরির কথা ভেবেছিলেন। রুথ বেশির ভাগ সময় দেখতেন, তার মেয়ে বারবারা কাগজের তৈরি অদ্ভুত ধরনের পুতুল নিয়ে খেলছে। সেখান থেকেই পুতুল বানানোর পরিকল্পনা জাগে তার মাথায়। তিনি ভাবেন, বাচ্চা মেয়েদের জন্য তিনি এমন পুতুল তৈরি করবেন যা দেখতে সুন্দর এবং গোলাপি রঙের। তিনি শিশুদের জন্য এক রূপকথা সাজিয়ে ফেলেছিলেন। ১৯৪৫ সালে রুথ হ্যান্ডলার তার স্বামী এলিয়ট হ্যান্ডলারের সঙ্গে ‘ম্যাটেল’ নামের সংস্থা তৈরি করেন। শুরুর দিকে ফোটো ফ্রেম তৈরির কাজ করলেও পরের দিকে খেলনা প্রস্তুতকারী সংস্থায় পরিণত হয় তার প্রতিষ্ঠানটি। কিছুদিন পর ইউরোপ সফরে গিয়ে ‘বিল্ড লিলি’ নামের জার্মান পুতুল নজরে পড়ে তার। এই পুতুল শিশুদের জন্য না হলেও পুতুলের সাজপোশাক নজর কাড়ে। তখনই বাচ্চাদের জন্য কী ধরনের পুতুল বানাবেন তা স্থির করে ফেলেন তিনি।

৯ মার্চ বার্বি পুতুলের জন্মদিন

রুথ হ্যান্ডলার ১৯৫৯ সালের ৯ মার্চ সর্বপ্রথম বার্বি পুতুল প্রকাশ্যে আনেন। বার্বি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম খেলনা যার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক অবয়ব রয়েছে। রুথ হ্যান্ডলার বার্বি পুতুলটি ডিজাইন করেন তার কন্যা মিনিসেন্ট রবার্টকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য। বার্বি একমাত্র পুতুল যার আছে নিজস্ব নাম এবং জন্মদিন। ৯ মার্চ বার্রির জন্মদিন হিসেবে পালন করা হয়।

বার্বি পুতুলের আসল নাম

সকলের কাছে বার্বি পুতুল হিসেবে সুপরিচিত হলেও এই পুতুলের রয়েছে আলাদা একটি নাম। বার্বি নামে ডাকলেও প্রকৃতঅর্থে পুতুলটির পুরো নাম বারবারা মিলিসেন্ট রবার্টস। যার সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে বার্বি। পুতুলটির প্রতিষ্ঠাতা রুথ হ্যান্ডলারের মেয়ে বারবারা’র নামানুসারে বার্বির নামকরণ করা হয়। বার্বি পুতুল প্রথম বাজারে আনা হয় আজ থেকে ৬৪ বছর আগে। বর্তমানে বার্বি পুতুলের বয়স ৬৪ বছর।

প্রতি সেকেন্ড ৩টি বার্বি পুতুল বিক্রি হয়

বার্বি পুতুলের জনপ্রিয়তা ক্রমাগত বাড়তে থাকে। বার্বি পুতুলটি ১৯৫৯ সাল হতে প্রায় ১ বিলিয়নের বেশি বিক্রি হয়েছে। সংখ্যাটি এতোই বেশি যে পৃথিবীর অন্য কোনো পুতুল বিক্রির দিক থেকে বার্বির আনাচকানাচে নেই। সংখ্যাটি মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো। ১ বিলিয়নেরও বেশি ডিজাইন করা হয়েছে বার্বির জন্য। বার্বি তৈরির কোম্পানি ম্যাটেল বিক্রির সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করে না। অনেকে ধারণা করে পৃথিবীতে প্রতি সেকেন্ডে অন্তত ৩টি বার্বি পুতুল বিক্রি হয়ে থাকে। পৃথিবীর ১৫০টির অধিক দেশে এই পুতুল পাওয়া যায়।

বার্বি রং

বার্বি নাম বললেই প্রথমে মাথায় আসে গোলাপি রঙের একটি পুতুলের কথা। তবে বার্বি পিংক নামেও যে একটি রং আছে তা অনেকের অজানা। পিএমএস ২১৯সি রংটি ‘বার্বি পিংক’ হিসেবে নামকরণ করা হয়েছে। ‘বার্বি পিংক’ রঙের পোশাকে অনেক তারকাকে দেখা যায় হরহামেশাই। তারকারা একজোট হয়ে ‘বার্বি পিংক’ রঙের ড্রেস পরে সিনেমা দেখতে যান।

বার্বি পুতুলের বিজ্ঞাপন

পুতুলের বিজ্ঞাপন দেওয়া বর্তমানে স্বাভাবিক হলেও পঞ্চাশের দশকে পুতুলের বিজ্ঞাপন দেওয়া ছিল ধারনার বাহিরে। সে সময় শিশুদের আকৃষ্ট করার জন্য বার্বি পুতুলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন তৈরি করা হতো। শিশুরাই ছিল বার্বির সরাসরি টার্গেট কাস্টমার। তাই শিশুদের জন্য তৈরি বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোতে প্রচারিত করা হতো বার্বির বিজ্ঞাপনগুলো। যাতে শিশুরা আকৃষ্ট হয় পুতুলগুলোতে। বলা হয় বার্বি টেলিভিশন বিজ্ঞাপনে প্রচারিত প্রথম পুতুল।

বার্বিকে নিয়ে চিত্রকর্ম

আমেরিকান জনপ্রিয় চিত্রশিল্পী ও পরিচালক অ্যান্ডি ওয়ারহল ১৯৮৬ সালে বার্বির স্মরণে একটি চিত্রকর্ম তৈরি করেছিলেন। চিত্রকর্মটি লন্ডনে নিলামে ১.১ মিলিয়ন বা ১২ কোটি টাকার অধিক মূল্যে বিক্রি করা হয়েছিল।

বার্বি মডেল

আমরা মডেল হিসেবে মানুষকে দেখলেও, পুতুল যে মডেল হতে পারে তা অনেকের হয়তো অজানা। বার্বির কাজের সূচনা হয়েছিলো ফ্যাশন মডেল হওয়ার মাধ্যমে। তবে সময়ের পরিক্রমায় বার্বি প্রায় ২০০-এর মতো কাজ বদলেছে। কখনো হয়েছে ডাক্তার, আবার কখনো বিজনেস এক্সিকিউটিভ আবার কখনো বা ক্যাশিয়ার, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ আরো অনেক কিছু।

বার্বি পুতুলের পরিবার

বার্বি পুতুলের স্রষ্টা রুথ হ্যান্ডলারলড এক পুত্রসন্তানও ছিল। তার নাম ছিল কেনেথ। কেনেথের নাম থেকেই পুতুলের জন্য ‘কেন’ নামটি ঠিক করেন রুথ। তারপরেই ‘বার্বি ওয়ার্ল্ড’-এ জুটি বেঁধে ফেলে বার্বি এবং কেন। এছাড়া বার্বি পুতুল হলেও রয়েছে এক বড় পরিবার। সেখানে রয়েছে বার্বি’র ৭ ভাই-বোন। এরমধ্যে বার্বিই একমাত্র বোন। বাকি ৬ জনের নাম স্কিপার, স্ট্যাসি, চেলসি, ক্রিসি, টড ও টুটি। টড এবং টুটি জমজ। বিড়াল, কুকুর, ঘোড়া, পান্ডা, সিংহ শাবক এবং একটি জেব্রাসহ ৪০টিরও বেশি পোষা প্রাণী রয়েছে বার্বির।

বার্বি পুতুলের মতো দেখতে মানুষ

পুতুলের মতো দেখতে মানুষ আছে তা-ও কি সম্ভব! এমন মানুষও কি পৃথিবীতে আছে? উত্তরটি হলো, হ্যাঁ আছে। দক্ষিণ সুদানের সুপার মডেল ‘ডাকি থট’কে দেখলে প্রশ্নটির উত্তর পাওয়া যাবে। তার চুল, চোখের মণি, ঠোঁট, হাত-পায়ের গড়ন হুবহু বার্বি ডলের মতো। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করেন ডাকি। সেখানে ক্যাপশনে লিখেছিলেন ‘ডাকস আফটার ডার্ক’ ক্যাপশনটি দেখে অবাক না হলেও, তার ছবিটি দেখে অনেকে অবাক হয়েছিল। কেউ মানতে পারছিল না ছবিটি একজন মানুষের। অনেকে তার ছবির নিচে লিখেছিল ‘তিনি কি মানুষ নাকি কালো বার্বি?’। তার এমন পুতুল রূপ দেখে তার শুভাকাক্সক্ষীরা তার মতো একটি বার্বি পুতুল তৈরির পরামর্শ দিয়েছিলেন।

বার্বি পুতুলের মাধ্যমে বার্তা

প্রায় ১৫০-এর অধিক চরিত্রে দেখা গেছে বার্বি পুতুলকে। কখনো বিভিন্ন বিখ্যাত চরিত্রের অনুরূপ হিসেবে, কখনো অনুপ্রেরণা মূলক চরিত্রে। মানুষ চাঁদে যাওয়ার প্রায় ৪ বছর আগে চাঁদে গিয়েছিল বার্বি, বাস্তবে নয় কল্পনায়। এছাড়াও ১৯৯২ সাল থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবেও দাঁড়াচ্ছে বার্বি! যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বার্বির জন্য রীতিমতো ভোটের প্রচারণাও চালায় ম্যাটেল। এসব কিছুর পেছনে একটি বিশেষ কারণ রয়েছে তা হলো শিশুদের বার্বির মাধ্যমে বড় স্বপ্ন দেখানোর চেষ্টা করেন বার্বি পুতুল তৈরি করা প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাটেল’। এখনো সারা পৃথিবীতে নারীর স্বাধীনতা এবং পেশা নির্বাচনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করছে বার্বি।

ব্রিটিশ রানীর জন্মদিনে বার্বি পুতুল উপহার

এলিজাবেথের ৯৬তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা এবং সিংহাসনে রানীর ৭০ বছর পূর্তিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্যই এমন উপহার প্রদান করা হয়েছিল। পুতুলটির গায়ে ছিল আইভরি রঙা গাউন ও নীল উত্তরীয় জড়ানো। মাথায় ছিল রানীর বিয়ের মুকুটের আদলে তৈরি মুকুট।

ম্যাটেল থিম পার্ক

বার্বি পুতুল তৈরি করা প্রতিষ্ঠান ‘ম্যাটেল’ একটি থিম পার্ক বানাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি ধারণা করছে, ২০২৪ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে পার্কটি। যেখানে একটি বার্বি বিচ হাউস, একটি থমাস অ্যান্ড ফ্রেন্ডস থিমযুক্ত রাইড এবং একটি হট হুইলস গো-কার্ট রেস ট্র্যাকসহ নানা রকম রাইড থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। এছাড়াও পার্কটিতে ম্যাটেল কোম্পানির সব খেলনা প্রদর্শন করা হবে।

বার্বি পুতুল সংগ্রহ করে বিশ্ব রেকর্ড

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বার্বি পুতুল সংগ্রাহক হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড বুকে নাম তুলেছেন জার্মানির ৫৪ বছর বয়সী বেটিনা ডরফম্যান। ১০ বছর বয়সে এক হাসপাতালে থাকা অবস্থায় প্রথম উপহার হিসেবে বার্বি পুতুল পেয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে বার্বির প্রতি ভালোবাসা। আজ সবচেয়ে বেশি বার্বি পুতুল সংগ্রহ করে গিনেস বুকে স্থান করে নিয়েছেন। ২০০৫ সালেই সবচেয়ে বেশি বার্বি সংগ্রহকারী হিসেবে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে ফেলেন এই জার্মান নারী। তখনই তার সংগ্রহে ছিল ২৫০০টি বার্বি ডল। তবে রেকর্ড গড়লেও বার্বি ম্যানিয়া কমেনি বেটিনার। ২০১১ সাল নাগাদ তার বার্বি সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০০। আর এই মুহূর্তে তার সংগ্রহে বার্বির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৮৫০০।

বার্বি গার্ল গান

গানপ্রিয় মানুষদের মধ্যে যারা পশ্চিমা ব্যান্ডের গান শোনেন অথচ অ্যাকুয়ার ‘ও’স ধ ইধৎনরব মরৎষ রহ ঃযব ইধৎনরব ড়িৎষফ’ গানটি শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। ১৯৯৭ সালে ‘অ্যাকোয়া’ ব্যান্ডের ‘বার্বি গার্ল’ গানটি প্রকাশিত হয়। প্লাস্টিকের বাক্সে মোড়া বার্বি পুতুল নিয়ে গানের সংলাপে এমন কিছু মন্তব্য করা হয় যা নিয়ে ম্যাটেল সংস্থা ওই ব্যান্ডের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। যদিও গানটি এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, তা ছোট থেকে বড় সকলের মুখে মুখে এখনো শোনা যায়।

বার্বি ড্রিম গ্যাপ প্রজেক্ট

২০১৯ সাল থেকে ম্যাটেল সংস্থা ‘বার্বি ড্রিম গ্যাপ প্রজেক্ট’ নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে যা নারী শিক্ষার উদ্দেশ্যে কাজ করবে। তাই কি গ্রেটা গারউইগ তার ছবির মাধ্যমে বার্তা দিলেন, ‘বিকস বার্বি ক্যান বি এনিথিং, উওমেন ক্যান বি এনিথিং।’

বার্বি রুপালি পর্দায়

বার্বি পুতুলকে নিয়ে অনেক অ্যানিমেটেড ফিল্ম তৈরি করা হয়েছে। সবচেয়ে বড় পরিসরে বড় পর্দায় বার্বি হাজির হয়েছে এবছর। ২১ জুলাই সারা পৃথিবীতে গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত ‘বার্বি’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। ১ ঘণ্টা ২৪ মিনিট দৈর্ঘ্যরে সিনেমাটিতে ‘বার্বি’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মার্গট রবি এবং ‘কেন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়ান গসলিং। ইতিমধ্যে সারাবিশ্ব থেকে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে সিনেমাটি। অতীতে বেশ কয়েকজন নারী পরিচালক নির্মিত চলচ্চিত্র ১০০ কোটি ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করেছে, তবে সেগুলো ছিল যৌথভাবে পরিচালিত। একক পরিচালক হিসেবে গ্রেটা গারউইগ প্রথম এই মাইলফলক স্পর্শ করলেন ‘বার্বি’ সিনেমার মাধ্যমে।

বিশ্বজুড়ে গোলাপি রঙের ঘাটতি হয়েছিল

‘বার্বি’ সিনেমাটিতে দেখা যায় সবকিছু জুড়ে গোলাপি রঙের সমারোহ। সুবিশাল গোলাপি সেট। এই নিখুঁত সেট বানাতে অনেক বেশি গোলাপি রঙের প্রয়োজন পড়েছে। এত বেশি গোলাপি রং ব্যবহৃত হয় যে গোলাপি রঙেরই অভাব পড়ে যায় পৃথিবীতে। কথাটা আমার নয়। বার্বির প্রোডাকশন ডিজাইনার আর রোস্কোর ভাইস প্রেসিডেন্ট জানান, বার্বি নির্মাণ করতে গিয়ে আসলেই বিশ্বজুড়ে রোস্কো ফ্লুরোসেন্ট পেইন্টের ঘাটতি দেখা দেয়। রোস্কো হলো বিনোদনজগতে বিভিন্ন রঙের ফিল্টার, পেইন্ট ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহকারী অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান। এক সাক্ষাৎকারে ছবিটির প্রোডাকশন ডিজাইনার ৬ বারের অস্কারজয়ী সারাহ গ্রিনউড বলেছিলেন, ‘দুনিয়া থেকে গোলাপি রং ফুরিয়ে গিয়েছিল সে সময়।’ রোস্কোর ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন প্রাউড লস অ্যাঞ্জেলস টাইমসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমাদের যত গোলাপি রং ছিল তার সবই তারা ব্যবহার করে ফেলেছিল।’

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: জানা অজানা

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty + 15 =