শার্ক ট্যাংক এল বাংলাদেশে

শার্ক ট্যাংক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো। ২০০১ সালে জাপানে নিপ্পন টিভিতে ‘দ্য টাইগারস অব মানি’ নামে শুরু হয় শোটি। অল্পদিনেই ‘ড্রাগনস ডেন’, ‘লায়নস ডেন’, ‘শার্ক ট্যাংক’সহ বিভিন্ন নামে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এ ফরম্যাট। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সুইডেন, ভারত, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ব্রাজিলসহ বিশ্বের ৫০টির বেশি দেশে নিয়মিত প্রচারিত হয় শোটি। জনপ্রিয় এ রিয়েলিটি শো এবার বাংলাদেশে। ২৬ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে শার্ক ট্যাংক। দীপ্ত টিভিতে প্রতি শুক্রবার রাত ১০টায় প্রচারিত হচ্ছে শোটি। এ ছাড়া দেখা যাচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে।

শার্ক ট্যাংক মূলত উদ্যোক্তাদের একটি প্ল্যাটফর্ম। উদ্যোক্তারা তাদের ব্যবসায়িক ধারণা বিনিয়োগকারীদের একটি প্যানেলের কাছে উপস্থাপন করেন। এই বিনিয়োগকারীদের বলা হয় শার্ক। কোনো উদ্যোক্তার আইডিয়া শার্কদের পছন্দ হলে তারা সেই ব্যবসায় নগদ অর্থ বিনিয়োগ করেন। যেসব উদ্যোক্তা ফান্ডের অভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না বা ব্যবসা আরও বড় করার সুযোগ খুঁজছেন; তাঁদের জন্য শার্ক ট্যাংক হতে পারে উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম।

জানা গেছে, শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের প্রথম পর্বে ১ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছেন শার্করা। এ পর্বে এসেছিলেন চারজন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা। তাঁরা তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলো শার্কদের সামনে উপস্থাপন করেন। প্রথম পর্বে ছিলেন পাঁচজন শার্ক—সামি আহমেদ, নাজিম ফারহান চৌধুরী, নাভিন আহমেদ, আহমেদ আলী (লিয়ন) ও গোলাম মুর্শেদ। শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের প্রতি পর্বে এ পাঁচজনের সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন কয়েকজন অতিথি শার্ক। প্রতি পর্বে চারজন উদ্যোক্তা তাঁদের ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করবেন। সেগুলোর মধ্য থেকে যাঁদের আইডিয়া পছন্দ হবে, শার্করা সে ব্যবসায় বিনিয়োগ করবেন। শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের প্রথম সিজনে ১৫টি পর্ব প্রচারিত হবে। প্রতি সপ্তাহে দেখা যাবে একটি করে পর্ব।

প্রথম পর্বে ‘বুকশনারি’ নামে একটি ভিন্নধর্মী বইয়ের ব্যবসার ধারণা উপস্থাপন করেন উদ্যোক্তা মেহেদী হাসান নয়ন। তাঁর উপস্থাপনা শার্ক নাজিম ফারহান চৌধুরী ও সামি আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৫ শতাংশ অংশীদারত্বের বিনিময়ে ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাঁরা। সহজেই রান্না করা যায়—এমন কিছু রেডিমিক্স নিয়ে ‘কুকলী’ নামের আইডিয়া উপস্থাপন করেন নারী উদ্যোক্তা শায়লা শারমিন। ৪০ শতাংশ ইক্যুইটি অংশীদারত্বের বিনিময়ে এ ব্যবসায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন শার্ক গোলাম মুর্শেদ, নাজিম ফারহান চৌধুরী ও আহমেদ আলী।

এ ছাড়া নিজের তৈরি স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড নিয়ে আসেন আরেক নারী উদ্যোক্তা নাজনীন আক্তার ডালিয়া। তাঁর ব্যবসায় শার্ক গোলাম মুর্শেদ, সামি আহমেদ ও আহমেদ আলী একসঙ্গে ৮ শতাংশ ইক্যুইটি অংশীদারির বিনিময়ে ৫০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

6 + sixteen =