সোশ্যাল মিডিয়া

অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ

নারী নয়, পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাতে হবে। আমার ছেলেকে সব সময় বলি, তোমার বোন যেমন ইচ্ছা কাপড় পরুক, তুমি তোমার বোনকে প্রটেক্ট করবে। প্রত্যেক মা-বাবা যদি তাদের ছেলেকে প্রত্যেকের দিকে ঠিকমতো তাকাতে শেখায়, তাহলে এই সমস্য সমাধান সম্ভব।

অভিনেতা জাহিদ হাসান

আমার অবস্থা হচ্ছে সার্কাসের বুড়ো হাতির মতো। সার্কাসে অবস্থান নেই। সেজন্য মনে হয় আমাকে ডাকেনি। এই প্রথম হইচই ডেকেছে। জানি না কী করতে পারবো। সার্কাসের হাতি যখন বুড়ো হয়ে যায়, সে হাতির পারফর্মেন্স তো ভালো থাকে না। তাই সার্কাসের ম্যানেজারও তাকে খুব একটা আদর করে না। তখন সেই হাতিটাকে রাস্তায় ছেড়ে দেয়। রাস্তায় গাড়ি-মানুষ আটকায়, সালাম দেয় আর টাকা নেয়। এই হলো অবস্থা। আমার অবস্থা মোটামুটি এই অবস্থায় গেছে কি না, কে জানে।

অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম

চারপাশ, বন্ধুবান্ধব, সিনিয়র-জুনিয়র সবার কাছ থেকে শিখি। একটা শিশু জন্মায় একা, আবার একটা মানুষ যে কোনো সময় যখন চলে যায়, তখনো একা। এই যে মাঝের সময়টুকু, ইটস বিউটিফুল। তাই আমি মনে করি, প্রতি দমেই জীবনকে উদযাপন করা উচিত।

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র

বাংলাদেশের সিনেমা, ওটিটি বা যেকোনো অভিনয়ের ব্যাপারে কারও সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় না বললেই চলে। তবে সময় সুযোগ হলে এদেশের সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছা আমার আছে। যে দেশকে আমি ভালোবাসি, যে দেশের মানুষের মধ্যে নিজের শেকড়ের গন্ধ পাই, সেই দেশে সেসব মানুষের জন্য অবশ্যই কাজ করতে চাই। আমি জানি এদেশে অনেক শুভাকাক্সক্ষী রয়েছে আমার। তাদের জন্যই বারবার আসা। তাদের উদ্দেশ্যে আমি একটা কথাই বলবো, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষায় নির্মাণ হওয়া প্রতিটি সিনেমাই আমাদের। সেটি যে দেশেরই হোক না কেন।

অভিনেতা জনি লিভার

কখনো কখনো হিরোরা আমার কারণে অভিনয়ের জন্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগত। লেখকদের বলত, ওদেরকেও যেন কমেডি দৃশ্য দেওয়া হয়। এরপর কমেডি দৃশ্যগুলো লেখকেরা ভাগ করে দিতে শুরু করল। ধীরে ধীরে আমার চরিত্রগুলো ছোট হতে শুরু করল। এখন তো কমেডিই আর নেই সিনেমায়।

অভিনেত্রী রূপা গাঙ্গুলি

‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালে অভিনয়ের আগে আমার শর্ত ছিল, টিভিতে যে ধাঁচের কাজ হয় তেমনটা করব না। ঘুম থেকে ওঠার দৃশ্যে আমাকে যেন বিয়েবাড়ির মতো সাজতে না হয়। আর দেয়ালে গোলাপি, বেগুনি পর্দা সাজিয়ে রাখলে আমি নেই। আমাকে রিয়েলিস্টিক অভিনয়ের সুযোগ দিতে হবে।

সংগীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা

মানুষ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে প্রশংসা, অপছন্দ করে নিন্দা বা সমালোচনা। আজকাল প্রশংসার মান নেমে গেছে, কারণ নির্লিপ্ত প্রশংসার জায়গা দখল করেছে তৈলমর্দন। আর নিন্দা বা সমালোচনা বিপজ্জনক বলে সত্যকথন প্রায় বন্ধের পথে। অনুশাসন এবং অনুমোদন দুটোই আজ চরিত্র হারিয়েছে।

চত্রিনায়িকা পূজা চেরী

্মার এবং আমার পরিবারের ইচ্ছা, আমার বিয়ে খুব ধুমধামভাবে হবে। আমার যারা কাছের মানুষ আছেন তাদের সবাই আমার বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন। আমি সবাইকেই আমার বিয়েতে দেখতে চাই। এছাড়া আপনাদের (সাংবাদিক) জানিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসবো। গুঞ্জন দেখে আমি মাঝে মাঝে অবাই হই। ভীষণ হাসি পায়। ভাবি, মানুষ এতো বোকা কেন। ভালো কাজ করলে আলোচনা-সমালোচনা দুটোই হয়। আমার সঙ্গে কাউকে নিলে এখন গুঞ্জন হবে। এসবে আমি কান দেই না, বা পাত্তা দেই না। আমি নিজের গতিতে কাজ চালিয়ে যেতে চাই।

অভিনেতা আহমেদ রুবেল

কর্মই সব কথা বলবে। যারা পপুলার হচ্ছে বা যাকে সবাই চেনে, জানে, ফলো করে, তাদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যা দৃষ্টিকটূ। শিল্পীদের ভালো মানুষ হতে হবে। বিনয়, উদার মনমানসিকতা, জ্ঞান দিয়ে শিল্পী নিজেই তাকে প্রকাশ করবে।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে ক্লিক করুন: সোশ্যাল মিডিয়া

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two × one =