হেঁসেলে বাংলার গর্বের হাসি আজকের না

শোনা যায় অনেক চৈনিকই বিশ্বাস করেন যে রান্নাঘরেরও নাকি এক দেবতা আছেন, যিনি বছরভর লক্ষ্য রাখেন গৃহকর্ত্রী তাঁর রান্নাঘরে কাজ-কর্ম কেমন করছেন তার উপর৷ বছর শেষ হলে তিনি স্বর্গে ফিরে গিয়ে সে-ব্যাপারে অ্যানুয়াল-রিপোর্ট জমা দেন জেড এমপায়ারের কাছে৷ রান্নাঘরের এই দেবতার কাছেই চিনেরা তাঁদের নিউইয়ার ইভ-এ প্রণাম জানান যাতে অ্যানুয়াল-রিপোর্টটা তিনি সযত্নে পেশ করেন সম্রাটের কাছে৷

বাঙালি হিন্দুর এমন কোনও হেঁশেল-দেবতা তেত্রিশ কোটির মধ্যে নেই৷ তবু বাঙালি রমণী যুগ-যুগ ধরে বিশ্বাস করে এসেছে গৃহকর্তার ‘বাসনার সেরা বাসা রসনায়’ এবং তাতেই গৃহ-শান্তি থাকবে অটুট৷ এ-কারণেই দিনে অন্তত এক তৃতীয়াংশ সময় তাঁরা রান্নাঘরে নিজেদের সমর্পন করে এসেছেন অনন্তকাল৷ সেই মাটির উনুনে কাঠ জ্বালিয়ে ধূম্রজালের মধ্যে নিজেকে সঁপে দেওয়ার দিন থেকে আজ পর্যন্ত৷

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × one =