‘মুজিব ভাই’ অ্যানিমেশন ফিল্মের প্রিমিয়ার শো

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে নির্মিত অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ‘মুজিব ভাই’ মুক্তি পেয়েছে।

সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর সীমান্ত সম্ভারে অনুষ্ঠিত হয়েছে চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার শো। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই প্রিমিয়ার শোয়ের উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়কালে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোরসহ সকলের কাছে কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনের গল্প পৌঁছে দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। তাদেরকে জানানোর জন্য অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের চেয়ে ভালো আর কোনো মাধ্যম হতে পারে না। নির্মাতাগণ বঙ্গবন্ধুর ছেলেবেলা সম্পর্কে এ অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন বাবা-মায়ের আদরের খোকা কিভাবে বাংলার মানুষের কাছে মুজিব ভাই হয়ে উঠলেন, তার জীবন সংগ্রাম এবং তার বিজয়ের সারমর্ম তুলে ধরার চেষ্ঠা করা হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন ছাত্র হিসেবে কীভাবে সে একজন নেতা হয়ে উঠেন, জনমানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিলেন, রাজনৈতিকভাবে সফল হয়ে উঠলেন এবং বাংলাদেশের রূপকার হলেন। কীভাবে হয়ে উঠলেন সবার মুজিব ভাই, এসব বিষয়বস্তু হচ্ছে এ চলচ্চিত্রটির মূল উপস্থাপন। প্রতিমন্ত্রী আইসিটি বিভাগের উদ্যোগে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রটি দেশের তরুণ দর্শকসহ সব বয়সী দর্শকের কাছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের এসব অধ্যায় চমৎকারভাবে উপস্থাপিত করার একটি প্রয়াস বলে উল্লেখ করেন।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অ্যানিমেশন চলচ্চিত্রে এবং অ্যানিমেশন শিল্পে দেশের তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে সর্বোপরি দেশের অ্যানিমেশন শিল্পকে এগিয়ে নিতে এ মুভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

চলচ্চিত্রটির মূল কাহিনি লিখেছেন অজয় দাশগুপ্ত, সংলাপ এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন আদনান আদীব খান। চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছেন চন্দন কুমার বর্মন এবং সোহেল মোহাম্মদ রানা। চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মূল নির্বাহী প্রযোজক হলেন জিনাত ফারজানা, আরিফ মোহাম্মদ ও মো. শফিউল আলম।

চলচ্চিত্রটির রিসার্চ লিড ছিলেন তন্ময় আহমেদ, প্রজেক্ট অ্যাডভাইজার ছিলেন মুস্তাফা মুহাম্মাদ হোসাইন এবং এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ছিলেন বায়জিদ খান রাহুল।

এ চলচ্চিত্রটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মোবাইল গেইম ও অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে। চলচ্চিত্রটির অ্যানিমেশন ডেভেলপ করেছে টেকনোম্যাজিক প্রাইভেট লিমিটেড আর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ছিল হাইপার ট্যাগ লিমিটেড।

মুক্তি পাওয়ার পর থেকে এ চলচ্চিত্রটি বিভিন্ন সিনেপ্লেক্স, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখা যাবে।

জাগো নিউজ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two × one =