কিংবদন্তি বাংলা ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’-র ‘বাপিদা’ ওরফে তাপস দাস মারা গেছেন। দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন ফুসফুসের ক্যানসারে। চিকিৎসাও চলছিল তার। চিকিৎসার খরচ জোগাতে বাপিদার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন দুই বাংলার শিল্পীরা। রবিবার শেষ হল লড়াই। ৬৮ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন মহীনের অন্যতম ঘোড়া।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রকাশ্যে আসে এই খবর। মারণরোগে ভুগছেন তাপস। ‘বাপিদা’র অসুস্থতার খবর শোনামাত্রই তার পাশে এসে দাঁড়ান শহরের সঙ্গীতশিল্পীরা। চিকিৎসার খরচ জোগাতে তৈরি করা হয় তহবিল। ‘ফসিলস’ থেকে ‘বর্ণ অনন্য’, শিল্পীর চিকিৎসার খরচ জোগাতে একাধিক কনসার্টের আয়োজন হয় শহরেই। পরে অবশ্য তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় রাজ্য সরকার।
বাপিদার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারের পাতায় শোকবার্তা লেখেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লেখেন, ‘‘দেশের প্রথম রক ব্যান্ড ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র তাপস দাস ওরফে বাপিদার প্রয়াণে আমি শোকাহত। গত কয়েক মাস ধরে মারণরোগে ভুগছিলেন বাপিদা। রাজ্য সরকার তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল। এসএসকএম হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। বাপিদার পরিবারের সদস্য ও তার অনুরাগীদের প্রতি আমার সমবেদনা।’’
এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। কিছুটা সুস্থ হয়ে কয়েক দিনের জন্য বাড়ি ফিরেছিলেন বাপিদা। পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ফের এসএসকেএমেই নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। গত কয়েক দিন সেখানেই চলছিল চিকিৎসা। আর বাড়ি ফেরা হল না।
বন্ধুর প্রয়াণে শোকাহত মহীনের অন্যতম ঘোড়া প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ওরফে বুলাদা। ভাল হয়ে উঠবেন বন্ধু, এই আশাই করেছিলেন তিনি। প্রদীপ জানান, দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা আত্মীয়, পরিজনদের সবেমাত্র এই দুঃসংবাদ জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘বাপিদার দেহ হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসার ব্যবস্থা হচ্ছে। বিকেলে গড়িয়ার শ্মশানে শেষকৃত্য হবে।’’ সেখানেই শেষকৃত্য হয়েছিল ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র গৌতম চট্টোপাধ্যায়েরও।