শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারতের শিল্পীদের অংশগ্রহণে ১২ দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২৩’। নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীরা প্রতিবছরই এই উৎসবের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন। উৎসবের দিনগুলোতে দুই দেশের শিল্পীদের পরিবেশনায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির একাধিক মঞ্চ এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতি ভবন মিলনায়তন সরগরম থাকে। সাংস্কৃতিক জাগরণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সম্প্রীতির আহ্বানে দ্বাদশবারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করছে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদ। উৎসব চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে উৎসব উদ্বোধন করবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এবারের আয়োজনে অংশ নেবেন দুই দেশের প্রায় চার হাজার শিল্পী। মঞ্চস্থ হবে বাংলাদেশ ও ভারতের ৪৫টি নাট্যদলের নাটক। আরও রয়েছে পথনাটক, আবৃত্তি, নৃত্য, সংগীত, পাপেট শো এবং প্রতিবন্ধী শিল্পীদের বিশেষ পরিবেশনা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের পরিবেশনার পাশাপাশি থাকছে শিশু-কিশোর সংগঠনগুলোর নানান পরিবেশনা।
উৎসবের ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল, সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্য মিলনায়তন এবং বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন। এ ছাড়া শিল্পকলার নাট্যশালার সামনে নির্মিত হয়েছে মুক্ত মঞ্চ। প্রতিদিন বিকেলে এ মঞ্চে গান, কবিতা ও নৃত্যের আয়োজন থাকবে।
উদ্বোধনী সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে মঞ্চস্থ হবে থিয়েটারের প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে বাতিঘর প্রযোজিত নাটক ‘ভগবান পালিয়ে গেছে’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে একতা নাট্যগোষ্ঠীর নাটক ‘১৯৭১’। এবার অনলাইনে পাওয়া যাবে মঞ্চনাটকের অগ্রিম টিকিট। এ ছাড়া উৎসব ভেন্যুর হল কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যাবে বিকেল ৪টা থেকে। নাটক শুরু হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায়। পাপেট শো এবং মঞ্চনাটকের টিকিটের মূল্য ২০০, ৩০০ ও ৫০০ টাকা। সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে যেসব অনুষ্ঠান হবে তার টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা। উন্মুক্ত মঞ্চের অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।
গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ জানান, উৎসবের প্রাথমিক বাজেট ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দিচ্ছে ২০ লাখ টাকা ও সাউথইস্ট ব্যাংক দিচ্ছে ৫ লাখ টাকা। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর স্বভাব কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলার ঘটনায় উৎসবের মূল মঞ্চে প্রতিবাদ বার্তা প্রদর্শিত হবে বলেও জানান তিনি।