টালিউড ইন্ডাস্ট্রি মানেই গোয়েন্দা গল্পের রমরমা। ফেলুদা ও ব্যোমকেশ তো আছেই। এ দুই চরিত্র নিয়ে কত সিনেমা, সিরিজ যে হয়েছে; সে তালিকা বেশ দীর্ঘ। এ ছাড়া কাকাবাবু, মিতিন মাসি, দীপক চ্যাটার্জি, কিরীটি রায়, দময়ন্তী, একেন বাবু চরিত্রদের নিয়েও অনেক কাজ হয়েছে। এখনো টালিউডের সিনেমায় রাজত্ব করছে এসব গোয়েন্দা চরিত্র। ‘ফেলুবকসি’ নামে নতুন এক গোয়েন্দা গল্পনির্ভর সিনেমা বানাচ্ছেন নির্মাতা দেবরাজ সিনহা। এ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার গোয়েন্দা চরিত্রে দেখা দিচ্ছেন সোহম চক্রবর্তী। ফেলুবকসি দিয়েই তাঁর বিপরীতে প্রথমবার টালিউডের সিনেমায় অভিনয় করতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের পরীমণি।
সিনেমার শুটিংয়ের জন্য এরই মধ্যে কলকাতায় পৌঁছেছেন পরী। ২৬ মার্চ থেকে ফেলুবকসির শুটিং শুরু হওয়ার কথা। শুটিং শুরুর কয়েক দিন আগে আরেক খবর জানালেন নির্মাতা দেবরাজ। এ সিনেমায় পরীমণি ছাড়াও রয়েছেন আরেক নায়িকা। তিনি মধুমিতা সরকার। পরী ও মধুমিতা—দুই দেশের দুই নায়িকা কাজ করছেন একই সিনেমায়।
দুই বাংলার দর্শককে এক জায়গায় নিয়ে আসতে ইতিমধ্যে এমন কিছু বাংলা সিনেমা তৈরি হয়েছে, যেখানে দুই দেশের অভিনেত্রীরা একসঙ্গে কাজ করছেন। কিছুদিন আগেই ঘোষণা হয়েছে ‘তুফান’ সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের নাবিলা ও পশ্চিমবঙ্গের মিমি চক্রবর্তী। ফেলুবকসি সিনেমায় এক ফ্রেমে পরী ও মধুমিতাকে নিয়ে আসার বিষয়টিও দর্শকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন নির্মাতা।
উল্লেখ্য, স্টার জলসার ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালে পাখি চরিত্রে অভিনয় করে পরিচিতি পান মধুমিতা সরকার। এরপর আরও কয়েকটি সিরিয়ালের পর তিনি থিতু হন সিনেমা ও ওয়েব কনটেন্টে। ‘লাভ আজকাল পরশু’, ‘চিনি’, ‘কুলের আচার’, ‘দিলখুশ’, ‘চিনি ২’সহ বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন মধুমিতা।