ওয়েব ফিল্ম ‘পুনর্জন্ম’, ‘দ্য সাইলেন্স’, ‘আরারাত’-এর নির্বাহী প্রযোজক মাসুদুল মাহমুদ রূহান মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রূহানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন নির্মাতা ভিকি জাহেদ।
তার বন্ধু-সহকর্মীরা জানিয়েছেন, আত্মহত্যা করেছেন রূহান। রাত দেড়টার দিকে নিজের রুমে সিলিং ফ্যানে ঝুলছিলেন তিনি। ভিকি জাহেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাত ১২টার দিকে ওর রুমমেট দরজা খুলে দেখে, রূহান ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।’ নির্মাতা আরও জানান, ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে রূহানের মা–বাবা রংপুর থেকে ঢাকায় রওনা হয়েছেন। তারা ঢাকায় ফিরলে লাশের ময়নাতদন্ত হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে রূহানের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। ঘনিষ্ঠজনেরা জানান, এর পর থেকেই হতাশায় ভুগছিলেন রূহান। সামাজিকমাধ্যম দেখলেও বোঝা যায় হতাশায় ডুবে ছিলেন রূহান।
সর্বশেষ ৪ মে একটি পোস্ট তিনি লিখেছেন, ‘আমার চেনা পৃথিবীর বুকে যেমন তুমি নাই, তোমার বুকেও আমি নাই! তাহলে কেন সেদিন বলেছিলে? আমার সঙ্গেই এই জন্ম কাটিয়ে দেবে? ভুল বুঝিও না। আমি দোষ দিচ্ছি না। জাস্ট বললাম আর কি!’ রূহানের এই অনুভূতির পোস্টে তাকে অকালে হারিয়ে শোকবার্তা দিচ্ছেন সহকর্মী-বন্ধুরা।
রূহানের এই অকালপ্রয়াণের খবরে শোকে মুষড়ে পড়েছেন বন্ধু-সহকর্মীরা। সামাজিক মাধ্যম ভরে উঠেছে শোকবার্তায়। রূহানের সঙ্গে তোলা একটি ভিডিও শেয়ার করে অভিনেতা শ্যামল মওলা লিখেছেন, ‘এই হাসি আর কখনো হাসবে না…ওপারে দেখা হবে…রূহান।’ জনপ্রিয় অভিনেতা তৌসিফ মাহবুব অকালপ্রয়াত এই প্রযোজকের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘কেন করলি রুহান???? কেন করলি রুহান???? কেন করলি রুহান????’
‘পুনর্জন্ম’, ‘রেডরাম’, ‘চম্পা হাউজ’, ‘শুক্লপক্ষ’, ‘দ্য সাইলেন্স’, ‘আরারাত’–এর মতো জনপ্রিয় ওয়েব ফিল্ম, নাটক-সিরিজের নির্বাহী প্রযোজক তিনি। ভিকি জাহেদের বেশির ভাগ কাজেরই নির্বাহী প্রযোজক ছিলেন রূহান। গত ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সিরিজ ‘রুমি’রও লাইন প্রোডিউসার ছিলেন রূহান। এ সিরিজটিরও নির্মাতা ছিলেন ভিকি জাহেদ।