সময়টা ভালো যাচ্ছে না অভিনেতা ফেরদৌস আহমেদের। সাত মাসের মাথায় হারিয়েছেন সংসদ সদস্য পদ। এর পর থেকে আওয়ামী লীগের অন্য এমপিদের মতো ফেরদৌসেরও কোনো খোঁজ মিলছে না। এবার জানা গেল, ছাত্র আন্দোলনে নীরব থাকায় টালিউডের একটি সিনেমা থেকে বাদ পড়েছেন তিনি।
অর্কদীপ মল্লিকা নাথের ‘মীর জাফর চ্যাপ্টার টু’ সিনেমায় অভিনয় করার কথা ছিল ফেরদৌসের। গতকাল সিনেমার প্রযোজক রানা সরকার জানালেন, এ সিনেমায় আর থাকছেন না ফেরদৌস। রানা সরকার বলেন, ‘সিনেমাটি দুই বাংলার দর্শকদের টার্গেট করে বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
বাংলাদেশের মানুষের, বিশেষত ছাত্রদের আবেগের কথা মাথায় রেখে, আমার কোনো সিনেমায় বাংলাদেশের এমন কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রীদের কাস্টিং করব না, যাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন না। সে হিসেবেই ফেরদৌসকে আমরা সিনেমাটিতে রাখছি না। এ ছাড়া তিনি কিছুদিন ধরে রেসপন্স করছিলেন না। গত জানুয়ারি থেকে বারবার যোগাযোগ করার পরেও তাঁর কাছ থেকে সাড়া পাইনি।’
গত বছরের শুরুর দিকে অভিনয়শিল্পীদের লুক প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়েছিল মীর জাফর চ্যাপ্টার টু সিনেমার। এখনো শুরু হয়নি শুটিং। ফেরদৌসের কারণেই কি এই দেরি? এমন প্রশ্নের জবাবে রানা সরকার বলেন, ‘২০২৩ সালেই সিনেমার শুটিং হওয়ার কথা ছিল, তবে সেটা সম্ভব হয়নি। ফেরদৌসের কারণে নয়, বিভিন্ন কারণে একটু দেরি হচ্ছে। যেহেতু এটার শুটিং হবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায়, তাই সেখানে শুটিং করার ক্ষেত্রে অনুমতির একটা বিষয় আছে।’
মীর জাফর চ্যাপ্টার টু সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে এই প্রযোজক বলেন, ‘দুই দেশে মুক্তির পরিকল্পনা থাকায় উভয় দেশের শিল্পীদের নিয়ে কাজটি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এখনকার যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে আগের শিল্পীদের নিয়ে কাজ করা কঠিন। দুই বাংলায় মুক্তি দেওয়া না গেলে এর সার্থকতা থাকবে না। শুধু পশ্চিমবঙ্গে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়াটা উচিত হবে না। বাংলাদেশে মুক্তি দেওয়া সম্ভব হলেই নির্মাণের পরিকল্পনা করব।’
এ সিনেমায় বাংলাদেশের জিয়াউল রোশানেরও অভিনয়ের কথা আছে। ভবিষ্যতে সিনেমার কাজ শুরু হলে রোশান থাকবেন বলে জানিয়েছেন প্রযোজক রানা। তিনি বলেন, ‘রোশানের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা নেই। শুটিং শুরুর আগে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সে করতে চাইলে অবশ্যই সিনেমায় থাকবে। সে সময় ফেরদৌস ভাইয়ের রিপ্লেসমেন্ট করা হবে।’ গ্রামের রাজনীতির গল্প নিয়েই লেখা হয়েছে মীর জাফর চ্যাপ্টার টু সিনেমার চিত্রনাট্য। নির্মাতা অর্কদীপ বলেন, ‘আমি মুর্শিদাবাদের ছেলে। ছোট থেকে ওখানে নানা অপরাধ ঘটতে দেখেছি। গ্রামের রাজনীতির চিত্রটা আমার প্রথম সিনেমায় ফুটিয়ে তুলতে চাই।’