২০১২ সালে টিকিট কেটে মা, বাবা ও বড় বোনের সঙ্গে সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো সারেগামাপার গ্র্যান্ড ফিনালে দেখতে গিয়েছিলেন দেয়াশিনী রায়। ১৩ বছর পর সেই দেয়াশিনী জিতলেন সারেগামাপার মুকুট। গত রোববার শেষ হলো ‘সারেগামাপা’র এবারের সফর। এবার সব বয়সের প্রতিযোগীরাই অংশ নিয়েছিলেন। ফলে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে বড় এবং ছোট দুই দল থেকে।
বড়দের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন দেয়াশিনী। যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে আছেন ময়ূরী ও সাঁই। তৃতীয় স্থানে সত্যজিৎ। অন্য দিকে ছোটদের মধ্যে প্রথম হয়েছে অতনু। দ্বিতীয় স্থানে ঐশী ও তৃতীয় স্থানে অনীক। সৃজিতা হয়েছেন চতুর্থ।
কল্যাণীর মদনপুরের মেয়ে দেয়াশিনী রায়। এর আগে কয়েকটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়েছিলেন দেয়াশিনী। অবশেষে সারেগামাপার শিরোপা জিতলেন তিনি। দেয়াশিনী বলেন, ‘সারেগামাপার শিরোপা অনেক বড় সাকসেস। হাজারো স্বপ্নের মধ্যে বেশ বড় একটা স্বপ্ন আজ পূরণ হলো। এখান থেকেই আমার নতুন জার্নি শুরু হলো। এখনো অনেক কিছু করার বাকি আছে। শুরু থেকে এটাই লক্ষ্য ছিল সারেগামাপা জিতি কিংবা না জিতি, মানুষের মন জিততে হবে। সারেগামাপাতে গান শুনিয়ে আজ প্রচুর মানুষের মনে জায়গা করতে পেরেছি। যাঁদের মনে এখনো জায়গা করতে পারিনি, তাঁদের এটুকু কথা দিতে পারি, আমি আরও চেষ্টা করব।’
গ্র্যান্ড ফিনালেতে উপস্থিত ছিলেন আদনান সামি। নিজের জনপ্রিয় গানগুলোতে পারফর্ম করেন এই সংগীতশিল্পী। এ দিন আদনান সামির সঙ্গে ছিলেন হৈমন্তী শুক্লা। পুরো সিজন সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলেছেন অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। বিচারকের আসনে ছিলেন শান্তনু মৈত্র, অন্তরা মিত্র, কৌশিকী চক্রবর্তী, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, জোজো ও জাভেদ আলী।