পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও মিথেন নির্গমন হ্রাসে বাংলাদেশকে জরুরি ভিত্তিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্কার করতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। খবর বাসস
উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বর্জ্য পৃথকীকরণ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি আজ চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশের এনডিসি ২০২১ পর্যালোচনা: বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসন কৌশল সংযোজন’ শীর্ষক অনলাইন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এ কর্মশালার আয়োজন করে।
পরিবেশ উপদেষ্টা দেশের অপরিকল্পিত ও অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা এখনও জাতীয় পর্যায়ে কার্যকরভাবে বর্জ্য পৃথকীকরণ পদ্ধতি অনুসরণ করি না। কিছু পরীক্ষামূলক প্রকল্প থাকলেও সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা কাঠামোবদ্ধ নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের শহরাঞ্চলের বড় ল্যান্ডফিলগুলো নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা হলেও সেগুলো পরিবেশগতভাবে সনদপ্রাপ্ত নয় এবং সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না; যা গভীর উদ্বেগের বিষয়।’
উপদেষ্টা বলেন, তিনি বিশ্ব পরিবেশ দিবসে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বর্জ্য পৃথকীকরণ কর্মসূচি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাজধানীর বাইরে অপরিকল্পিত বর্জ্য ফেলার কারণে পরিবেশ দূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। ল্যান্ডফিল অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করে পরিবেশ উপদেষ্টা বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদনে আগ্রহের কথা স্বীকার করলেও এর অতিরিক্ত নির্ভরতার বিষয়ে সতর্ক করেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্জ্যে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় ইনসিনারেশন কার্যকর সমাধান নয়। আমাদের আমিনবাজার ও মাতুয়াইলের মতো ল্যান্ডফিলের জন্য স্থানভিত্তিক টেকসই সমাধান প্রয়োজন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কামরুজ্জামান, ইএসডিও সভাপতি সৈয়দ মারগুব মুরশেদ, এবং ইএসডিও’র প্রধান নির্বাহী ও নির্বাহী পরিচালক সিদ্দিকা সুলতানা।
কর্মশালায় নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ এবং স্টেকহোল্ডাররা একত্রিত হয়ে বিকেন্দ্রীকৃত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মিথেন নিরসনের বাস্তবসম্মত কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।