বড় বড় প্রকল্প অনুমোদনে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেন, যেকোনো প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আপত্তিকে ‘না’ বলে মনে না করে তা যেন ন্যায্য প্রতিরোধ হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমিকে পরিকল্পনার আওতায় আনার কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স আয়োজিত চতুর্থ আন্তর্জাতিক নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা সম্মেলন (আইসিইউআরপি) ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে ন্যায়সংগত রূপান্তরের জন্য স্থানিক পরিকল্পনা’ শীর্ষক এই অধিবেশনে পরিবেশ রক্ষায় কেবল আইন-নীতিমালা যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধের পরিবর্তন।
তিনি আরো বলেন, সরকারের প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে পরিবেশবান্ধব হতে হবে। হাউজিং প্রকল্প অনুমোদনের ক্ষেত্রে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নগর পরিকল্পনায় প্রত্যেক খাতের প্রভাব বিবেচনায় নেওয়া জরুরি।
তিনি বলেন, রাজউকের মতো উন্নয়ন সংস্থাগুলোর একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয়। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি সংস্থাকে ক্ষমতায়ন করতে হবে এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় পর্যায়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার ফলে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। প্রকৃত পাহাড় দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে শুধু শ্রমিকদের দায়ী করা যথাযথ নয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ইউএন-হ্যাবিট্যাটের নির্বাহী পরিচালক আনাক্লাউদিয়া রসবাখ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম এবং বিআইপির সাধারণ সম্পাদক ও আইসিইউআরপি ২০২৫-এর আহ্বায়ক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান প্রমুখ।