পাকিস্তানের মধুর প্রতিশোধ

সালেক সুফী: পাক-ভারত ক্রিকেট মহারণে কাল দুবাইতে পাকিস্তানের জয় ছিল মধুর প্রতিশোধ। এশিয়া কাপ ২০২২ প্রথম দফায় জয় পেয়েছিলো ভারত। প্রখর প্রতিদ্বন্দ্বিতার ম্যাচে কাল টস হেরে ব্যাটিং করে ১৮১/৭ চ্যালেঞ্জিং স্কোর করেছিল। পাকিস্তান শুরু থেকেই জয়ের লক্ষ্য স্থির করে নিজেদের ধরে রেখে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ১৮২/৫ করে জয় ছিনিয়ে নেয়। পরিস্থিতি আরো একটি পাকিস্তান-ভারত ফাইনাল দেখার পটভূমি তৈরি করেছে। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই নিয়মিত দেখার প্রত্যাশায় অগণিত ক্রিকেট আমোদিরা বসে থাকে। দুইদলের রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে দীর্ঘদিন দিপাক্ষিক সিরিজ হয় না। আইপিএলে পাকিস্তানি আর পিএসএলে ভারতীয়দের খেলার সুযোগ নেই।

কাল টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ঝড়ের গতিতে সূচনা করেছিল ভারত। মনে হচ্ছিল রোহিত-রাহুলের সক্রিয়তায় এবং শক্তিশালী ব্যাটিং গভীরতার কারণে ভারতের স্কোর ২০০ রানের বেশি হবে। কিন্তু রাহুল, রোহিতের বিদায়ের পর কোহলি ছাড়া আর কেউ ছন্দ খুঁজে পায়নি পাকিস্তান দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী বোলিংয়ের কারণে।

কোহলি ছিল ভৈরবী ছন্দে। সৌভাগ্য পাকিস্তানের কোহলি ৬০ রান করে রান আউট হওয়ায়। নাহয় হয়তো ভারতের রান ২০০ পেরুতো। কোহলি ছাড়া রাহুল, রোহিত দুজনই ২৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে। পাকিস্তানি বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ভারতের ব্যাটারদের স্বস্তি দেয়নি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাবর আজম ফিরে গেলেও ম্যাচজয়ী বিধ্বংসী ব্যাটিং করে রিজওয়ান। ৫১ বালের ৭১ রানের ইনিংসটি জয়ের মসলা উপহার দেয়। ৬টি চার আর দুই ছয়ে সাজানো রিজওয়ানের ইনিংসটি খেলা ভারতের মুঠো মুক্ত করে। প্রয়োজনীয় মুহূর্তে নেওয়াজ খেলে ৪২ রানের কার্যকরী ইনিংস। ১ বল বাকি রেখে ৫ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান। কালকের খেলায় যোগ্য দল জয় পেয়েছে নির্দ্বিধায় বলা যায়। টুর্নামেন্ট বা টি২০ ইতিহাসে এই ম্যাচটি অন্যতম সেরা হয়ে বিবেচিত হবে। পকিস্তান দলের শরীরী ভাষায় জয়ের নেশা ছিল। ছিল আগের ম্যাচে পরাজয়ের বদলা নেওয়ার প্রতিজ্ঞা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two + eighteen =