দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে ১ রানে হারলো নেপাল

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অবিস্মরনীয় জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়েও মাত্র ১ রানে হেরে গেল নেপাল ক্রিকেট দল। আজ সকালে ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৫ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ম্যাচ জিততে ৪ উইকেট নিয়ে শেষ ওভারে ৮ রানের প্রয়োজন পড়ে নেপালের। কিন্তু শেষ ওভারে ১ উইকেটে হারিয়ে ৬ রান নিতে পারে নেপাল। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৪ রান করে ম্যাচ হারে নেপাল।

দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়ায় বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো নেপাল। ৩ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থস্থানে আছে তারা। ৪ ম্যাচে পূর্ণ ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে আগের সুপার এইট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ ম্যাচে বাংলাদেশ ৪ ও নেদারল্যান্ডস ২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটের দৌড়ে টিকে আছে। ৩ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তলানিতে থাকা  শ্রীলংকাও টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠ কিংসটাউনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার রেজা হেনড্রিক্সের ধৈর্য্যশীল ব্যাটিংয়ে ১১ ওভারে ১ উইকেটে ৬৭ রান তুলে ভালো অবস্থায় ছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২তম ওভারে দলীয় ৬৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহের পথ হারায় প্রোটিয়ারা।

ওপেনার হিসেবে নেমে ১৬তম ওভারে আউট হবার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন হেনড্রিক্স। ৪৯ বল খেলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। ছয় নম্বরে নামা স্ট্রাবসের ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৮ বলে ঝড়ো ২৭ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১৫ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বল হাতে নেপালের কুশল ব্রুটেল ১৯ রানে ৪টি এবং দিপেন্দ্র সিং ২১ রানে ৩ উইকেট নেন।

১১৬ রানের টার্গেটে ৩৫ রানের সূচনা গড়ে নেপাল। দ্বিতীয় উইকেটও ৩৫ রানে হারানোর পর দলের হাল ধরেন ওপেনার আসিফ শেখ ও অনিল শাহ। তৃতীয় উইকেটে ৩৬ বলে ৫০ রান তুলে নেপালকে লড়াইয়ে রাখেন তারা। কিন্তু ৮৫ থেকে ১শ রানে পৌঁছাতে আসিফ ও অনিলকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নেপাল। শেষ দুই ওভারে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে ১৬ রান দরকার পড়ে নেপালের। ১৯তম ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৮ রান পায় নেপাল। এতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রানের দরকারে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওটনিল বার্টম্যানের প্রথম পাঁচ ডেলিভারিতে ৬ রান তুলে ফেলে নেপাল। শেষ বলে ২ রানের প্রয়োজনে রান আউট হন গুলশান ঝা। তাতেই তীরে এসে তরি ডুবে নেপালের।

৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৯ বলে ৪২ রান করেন আসিফ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ইনিংস সাজানো অনিল। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার তাবরাইজ শামসি।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

four × 4 =