বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোম্পানির নাম এনভিডিয়া, যার উত্থানের পেছনে কাজ করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জোয়ার। সম্প্রতি টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোম্পানির আসন দীর্ঘদিন পর ফেরত পেয়েছিল মাইক্রোসফট।
এই মাসের শুরুতে আইফোন নির্মাতা অ্যাপলকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোম্পানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছিল এনভিডিয়া। আর গেল মঙ্গলবার এই তালিকার শীর্ষে থাকা মাইক্রোসফটকেও সিংহাসনচ্যুত করল কোম্পানিটি, যেখানে তাদের শেয়ারমূল্য বেড়েছে তিন শতাংশের বেশি।
এই বছর সামগ্রিকভাবে এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্য বেড়েছে ১৭০ শতাংশের বেশি, যেখানে চিপ প্রসেসর বাজারের ৮০ শতাংশ দখলে রেখে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতেও শীর্ষে অবস্থান করছে চিপ জায়ান্ট কোম্পানিটি।
সর্বশেষ উত্থানের পর এনভিডিয়ার বাজারমূল্য এখন তিন লাখ ৩২ হাজার ছয়শ কোটি ডলার, যেখানে ফেব্রুয়ারিতে তাদের বাজারমূল্য দুই ট্রিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছিল।কোম্পানির এমন নাটকীয় উত্থানে প্রযুক্তি খাতেও একটি মাইলফলক অর্জিত হয়েছে, যে খাতে ২০০৭ সালে আইফোন উন্মোচনের পর থেকে রাজত্ব করে আসছিল অ্যাপল, আর তার পেছনেই ছিল মাইক্রোসফট।
তবে, আইফোনের চাহিদা কমে আসার প্রভাব অ্যাপলের শেয়ারমূল্যে পড়ায় এ বছরের শুরুতেই মাইক্রোসফটের কাছে সিংহাসন হারিয়েছে কোম্পানিটি। একই সময় চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআইয়ের ওপর মাইক্রোসফটের বিনিয়োগও কোম্পানির শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক ছিল, যার ফলে জেনারেটিভ এআই খাতেও প্রাথমিকভাবে এগিয়ে ছিল কোম্পানিটি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মাসের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঘটে যাওয়া এক বিভাজনের পর এনভিডিয়ার শেয়ারের চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে, কোম্পানিটি আরও শেয়ার তৈরি করে, যা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদেরকে আরও আকৃষ্ট করেছে।
৭ জুনের এ বিভাজনের আগে এনভিডিয়ার একেকটি শেয়ারের দাম ছিল এক হাজার ডলারের বেশি। সে তুলনায় এ বছর এখন পর্যন্ত মাইক্রোসফটের শেয়ারমূল্য বেড়েছে মাত্র ১৯ শতাংশ। সাধারণ হিসেবে এ উত্থান সন্তোষজনক হলেও এনভিডিয়ার ঈর্ষণীয় পারফর্মেন্সের কাছে তা খুবই ম্লান।
ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক কোম্পানিটির প্রসেসরের চাহিদা তাদের সরবরাহের ক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে, যেখানে মাইক্রোসফট, মেটা ও গুগলের মতো কোম্পানিগুলো এআই কম্পিউটিং সক্ষমতা বিকাশের প্রতিযোগিতায় বিশাল অর্থ ঢালছে।
বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্যে এমন নাটকীয় উত্থানে কেবল মঙ্গলবারই তাদের বাজারমূল্যে যোগ হয়েছে দশ হাজার কোটি ডলারের বেশি।