জয় দিয়ে সুপার এইট শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার

ওপেনিং ব্যাটার কুইন্টন ডি কক এবং পেসার কাগিসো রাবাদার নৈপুণ্যে জয় দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব শুরু করেছে  দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জিততে হয়েছে লড়াই করেই। গতরাতে সুপার এইটে গ্রুপ-২এ নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৮ রানে হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে। ব্যাট হাতে ডি কক ৪০ বলে ৭৪ রান এবং বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেন রাবাদা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যান্টিগায় যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রনে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওভারে হোচট খায়। ব্যক্তিগত ১১ রানে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স।সতীর্থকে হারানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের বোলারদের উপর চড়াও হন আরেক ওপেনার ডি কক। তার ১৮ বলে ৪১ রানের সুবাদে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

২৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডি কক। সেই সাথে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৬বার অন্তত হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংস খেলার রেকর্ড দখলে নেন তিনি। এই ফরম্যাটে ১টি সেঞ্চুরিও আছে তার।

দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক আইডেন মার্করামকে নিয়ে মাত্র ৬০ বলে ১১০ রান যোগ করেন ডি কক। ১৩তম ওভারে ডি কককে থামিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার হারমিত সিং। ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪০ বলে বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন  ডি কক।

ডি কক ফেরার পরের ডেলিভারিতে ডেভিড মিলারকে গোল্ডেন ডাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান হারমিত। ১৫তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৪১ রানে মার্করামকে বিদায় দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের লাগাম টেনে ধরার পথ তৈরি করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইন-ফর্ম পেসার সৌরভ নেত্রাভালাকার। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩২ বলে ৪৬ রান করেন মার্করাম।

ইনিংসের শেষ ৩০ বলে হেনরিচ ক্লাসেন ও ট্রিস্টান স্টাবসের অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটিতে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩টি ছক্কায় ক্লাসেন ২২ বলে ৩৬ ও স্টাবস ১৬ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। যুক্তরাষ্ট্রের নেত্রাভালাকার ও হারমিত ২টি করে উইকেট নেন।

জবাবে ২১ বলে ৩৩ রানের সূচনার পর নিয়মিত  বিরতিতে  উইকেট হারাতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এক পর্যায়ে ৭৬ রানে পঞ্চম উইকেট পতনে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে আমেরিকানরা। কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটে ব্যাট হাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার আন্দ্রিস গাউস ও হারমিত। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে টি-টোয়েন্টিতে চতুর্থ হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন গাউস।

হারমিত-গাউসের দারুন জুটির পরও শেষ ৫ ওভারে ৭৩ রান দরকার পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু শেষ ৫ ওভারে ৫৪ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে ম্যাচ হারে যুক্তরাষ্ট্র। ৫টি করে চার-ছক্কায় ৪৭ বলে অপরাজিত ৮০ রান করেন গাউস। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২২ বলে হারমিত করেন ৩৮ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার রাবাদা ৪ ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ডি কক।

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

16 − four =