জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল: শান্ত

পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙ্গে জয় দিয়ে হারের বৃত্ত ভাঙ্গায় খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হার এবং একমাত্র অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে বাজে হারে মেগা ইভেন্টে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অনেকটাই  ফিকে হয়ে গিয়েছিলো।

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি খুবই খারাপ হওয়ায়  বাংলাদেশকে নিয়ে প্রত্যাশা কমই ছিলো ভক্তদের। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নেমেই সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে নাটকীয়ভাবে শ্রীলংকাকে ২ উইকেটে হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নেওয়ার পথেই আছে বাংলাদেশ। কারন পরপর দুই ম্যাচে শ্রীলংকা হেরে যাওয়ায় পরের রাউন্ডে যাবার ভালো সুযোগ রয়েছে টাইগারদের।

যদিও বাজে ব্যাটিং পারফরমেন্সের কারনে এখনও কিছুটা অস্বস্তি রয়েছে বাংলাদেশ শিবিরে। কিন্তু প্রথম ম্যাচ থেকে পূর্ণ ২ পয়েন্ট পাওয়ায় খুশি শান্ত। ম্যাচের পর শান্ত বলেন, ‘বেশ কিছু ম্যাচে হারের পর এমন জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছে। জয়ের ব্যবধান যেমনই হোক না কেন, দুই পয়েন্ট পাওয়ায় এবং জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে পারায় আমি খুশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাটারদের উপর আমার আস্থা আছে। সব ব্যাটার একসাথে ভালো করবে- আপনি এমনটা আশা করতে পারেন না।’ শান্ত জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে দলীয় পারফরমেন্স দিয়ে সাফল্য অর্জনের সামর্থ্য দলের আছে।

তিনি বলেন, ‘দলের শারীরিক ভাষা দারুন ছিলো। আমরা ১২০ ভাগ দিয়েছি। গত ১০-১৫ দিন ধরে আমরা পরিকল্পনা করছি এবং সবাই নিজেদের কাজগুলো করেছে। আমি মনে করি, বোলাররা সত্যিই ভাল বোলিং করেছে। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে আমাদের সহজেই জয় পাওয়া উচিত ছিল।’

শান্ত আরও বলেন, ‘এটি লিটনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সে লড়াই করেছে, কিন্তু আজ তার দক্ষতা দেখিয়েছে। আমার মনে হয়, সে সত্যিই ভালো ব্যাটিং করেছে। হৃদয় সত্যিই সাহসী ছিল। তার খেলার ধরণ সত্যিই আমাদের দারুনভাবে  সাহায্য করেছে।’

অন্যদিকে, বাংলাদেশের কাছে হারের জন্য দলের ব্যাটিংকে দুষলেন শ্রীলংকার অধিনায়ক হাসারাঙ্গা ডি সিলভা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটাররা প্রথম ৮-১০ ওভারে সত্যিই ভাল ব্যাটিং করেছিল। আমি মনে করি পরের ওভারগুলোতে আমরা খারাপ ব্যাটিং করেছি। আমরা সবাই জানি আমাদের বোলিং আক্রমণই আমাদের শক্তি। বিশেষ করে ব্যাটাররা  ১৫০-১৬০ রান করতে পারলে আমাদের বোলিং আক্রমণ ম্যাচ জেতাতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটাররা ভালো করেনি। এখন বেশ কঠিন অবস্থা। আমরা প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছি। প্রধান চার বোলার নিয়ে আমরা বল করেছি। আমি মনে করি, মূল চারজন বোলার তাদের কাজ করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত অলরাউন্ডারদের দিয়ে আমাদের চার ওভার বল করতে হয়েছে।’

বাসস

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

10 − one =