ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু

রঙবেরঙ প্রতিবেদন

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার যাত্রা শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টা সহ ১৪ জন উপদেষ্টা বঙ্গভবনের শপথ গ্রহণ করে দেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় ঘোষণা করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। ৮ আগস্ট  রাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে শপথ নিয়েছেন উপদেষ্টারা। এদিনই দুপুরে ফ্রান্স থেকে দেশে ফিরেন ড. ইউনূস। আইনশৃঙ্খলা ফেরানো প্রথম কাজ বলে জানিয়েছেন তিনি।

৮ আগস্ট রাত ৯টা ২১ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে প্রথম শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে শপথ বইয়ে সই করেন তিনি। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

পরে ৯টা ২৮ মিনিটে এই সরকারের ১৩ জন উপদেষ্টাও শপথ নিয়েছেন। তিন জন ঢাকার বাইরে থাকায় উপস্থিত হতে পারেননি।

শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বিধান রঞ্জন রায়, সুপ্রদীপ চাকমা ও ফারুকী আযম ঢাকার বাইরে থাকায় ঐ শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি বলে সচিব জানান। তবে পরবর্তী সময়ে এই তিন জন উপদেষ্টাও শপথ গ্রহণ করেছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের দপ্তর বণ্টন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করা হয়েছে। যেখানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর হাতে রেখেছেন মন্ত্রিপরিষদ ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগসহ ২৫টি দপ্তর।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এই দপ্তর বণ্টনের কথা জানানো হয়।

কার হাতে কোন দপ্তর

মুহাম্মদ ইউনূস: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ: অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, আফিস নজরুল: আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, আদিলুর রহমান খান: শিল্প মন্ত্রণালয়, এ এফ হাসান আরিফ: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, তৌহিদ হোসেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, শারমিন এস মুরশিদ: সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, এম সাখাওয়াত হোসেন: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আ ফ ম খালিদ হোসেন: ধর্ম মন্ত্রণালয়, ফরিদা আখতার: মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়, নুরজাহান বেগম: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মো. নাহিদ ইসলাম: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে শপথ নেওয়া উপদেষ্টাগণ বিধান রঞ্জন রায়: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, সুপ্রদীপ চাকমা: চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ফারুকী আযম: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে হবে ক্লিক করুন: নিবন্ধ

 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

twenty − two =