নৈশভোজে ওটস্‌ খান? জানেন কী হতে পারে

প্রাতরাশে ওটস্‌। তার গুণ অঢেল। এ কথা অজানা নয়। কিন্তু সেই ওটস্ যদি রাতে খান? তা হলে কী হতে পারে?

আদৌ কি এমন খাদ্য রাতে খাওয়া ঠিক? পেটের জন্য ভাল তো?

কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা দিনের যে কোনো সময়ে ওটস্‌ খেতে ভালবাসেন। তাতেই আরাম হয় শরীরে। সকালে দইয়ের সঙ্গে ওটস্‌ তো, রাতে আবার ওটস্‌ দিয়ে তৈরি করে ফেলেন খিচুড়ি। এই খাবার অতিরিক্ত ফাইবার যুক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যের উপকার হয়।

চিকিৎসকেরা বলে থাকেন, ওটস‌্‌ খাওয়ার জন্য কোনো শ্রেষ্ঠ সময় হয় না। প্রাতরাশ, মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশভোজ— যে কোনও সময়ে ওটমিল খাওয়া যায়। তাতে শরীর পায় নানা ধরনের ভিটামিন। ফলে সচল এবং সুস্থ থাকা সম্ভব।

অর্থাৎ, রাতে ওটস্ খেলে যে কোনও ক্ষতি নেই, তা জানা গেল। কিন্তু বিশেষ কোনো উপকার করে কি এমন নৈশভোজ?

ওটসে থাকে এক ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড, নাম ট্রিপটোফান। এর প্রভাব স্নায়ুর উপরে পড়ে। তাতে হাল্কা আচ্ছন্ন ভাব আসে শরীরে। তাই পেট ভরে ওটস্‌ খেয়ে বিশ্রাম নিলে তাড়াতাড়ি ঘুম এসে যায়।

‘সাইকোলজি টুডে’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, এই খাবারের প্রভাবে শরীরে ইনসুলিনও তৈরি হয়। সেই ইনসুলিনের প্রভাবে আবার ট্রিপটোফ্যান পৌঁছায় মস্তিষ্কে। সেখানে গিয়ে তা থেকে সেরোটনিন তৈরি হয়। সেরোটনিনের মাধ্যমে ঘুম, মনের ভাব, ব্যথা-বেদনার অনুভূতি নিয়ন্ত্রিত হয়।

শরীরে সেরোটনিন পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি হলে উদ্বেগ-অবসাদ কম থাকে। আর ঘুম ভাল আসে।

ফলে রাতের দিকে ওটস্‌ খেলে নিশ্চিন্ত নিদ্রা লাভ করা যেতেই পারে!

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

two × 3 =