সেচ ব্যবস্থাপনার আধুনিকীকরণের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এবং বাংলাদেশ সরকার রবিবার ১৩.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার অতিরিক্ত প্রকল্প ঋণের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মাধ্যমে বড় আকারের সেচ প্রকল্পসমূহের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ উন্নতকরণ এবং আবাদী জমি বন্যা থেকে রক্ষা করা যাবে।অতিরিক্ত ঋণটি চলমান ৪৬ মিলিয়ন ডলারের সেচ ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্পকে জোরদার করবে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও এডিবির পক্ষে যথাক্রমে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিং ভার্চুযালি এই ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
গিনটিং বলেন, ‘সেচ ব্যবস্থাপনা এবং অবকাঠামোর উন্নতির মাধ্যমে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত ও অভাব দূরীকরণে এই সহায়তা ভূমিকা রাখবে।’তিনি আরও বলেন, ‘পানি খাতের টেকসই উন্নয়নের জন্য, এই প্রকল্পটি সেচ প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ সরকারী বিভাগ থেকে বেসরকারী অপারেটরদের কাছে স্থানান্তর করে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করবে।এটি এই খাতে উদ্ভাবনী অবকাঠামো আধুনিকীকরণ করবে, যেমন ডিজেল মোটর পাম্পগুলোকে বৈদ্যুতিক পাম্পে প্রতিস্থাপন করা এবং প্রিপেইড কার্ড মিটার ব্যবস্থা চালু করা।’
প্রকল্পটি ১৭ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ মেরামত করবে এবং ৪০০ কিলোমিটারের বেশি খাল ড্রেন পুনঃখনন করবে। ২০২৪ সালের মধ্যে, এটি মুহুরী সেচ ব্যবস্থার অধীনে শুষ্ক-মৌসুমে সেচের এলাকা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে ১৮,০০০ হেক্টরে উন্নীত করবে।সেচকৃত শীতকালীন ধানের (বোরো) গড় ফলন ২০১৩ সালের ৩ টন থেকে ৪ টন হেক্টরে বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রকল্পটি পাম্প অপারেটর হিসাবে কমপক্ষে ২ শতাংশ নারী, ৫ শতাংশ মোবাইল ওয়াটার ইউনিট বিক্রেতা হিসাবে এবং ৫ শতাংশ নারী নির্মাণ শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে।
বাসস