সোশ্যাল মিডিয়া

অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ

সিনেমা ছিল এ দেশের মানুষের অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম। পরবর্তী সময়ে সিনেমা হলবিমুখ পরিবার টিভি নাটককে বেছে নিয়েছিল। আমি বেশ কিছু নাটকে তৃপ্তি নিয়ে অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু নাটককেও অশ্লীলতা গ্রাস করেছে। এখন ইউটিউবের জন্য যে নাটক নির্মিত হচ্ছে, তাতে ভয়াবহভাবে অশ্লীলতা ঢুকে গেছে।

অভিনেত্রী তানভীন সুইটি

ভালো থাকার জন্য অনেক কিছুর প্রয়োজন হয় না। আনন্দটা আপনাকে খুঁজে দিতে হবে পরিবার, বন্ধুÑ এদের মাঝে। মানুষের সবসময় এক রকম যায় না। ভালো, খারাপ মিলিয়েই আমাদের জীবন। এরই মধ্যে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে হবে।

অভিনেতা মনোজ প্রামাণিক

আমার কাছে তো শিক্ষকতা আর অভিনয় একই মনে হয়। দুটো ক্ষেত্রেই মাথায় একটা স্ক্রিপ্ট থাকে, এরপর পারফর্ম করতে হয়। ক্লাসরুম আসলে পারফরম্যান্সের জায়গা। সেখানে দর্শক হিসেবে থাকে শিক্ষার্থীরা।

অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ

আগে নায়ক-নায়িকাদের সার্কেলে থাকত কবি, সাহিত্যিক, মিউজিশিয়ানরা। কিন্তু এখন নায়ক-নায়িকাদের আশপাশে যাদের দেখি তারা কেমন যেন অন্য রকম মানুষ। এ কারণে ‘কালচারাল আইকন’ হিসেবে এখনকার কোনো তারকাকে আর সেলিব্রেট করা যায় না। নায়ক-নায়িকাদের সঙ্গে ক্রিয়েটিভ আর্টিস্টদেরও দূরত্ব বেড়েছে।

অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন

আমি নারীপ্রধান গল্পে বেশি কাজ করতে চাই। কিন্তু বাংলাদেশে নারীপ্রধান গল্প সেভাবে হয় না। হয়তো নারীকে সুপার গ্ল্যামারাস দেখাতে চায়, আবার কখনো ডাইনি টাইপ। মাঝামাঝি চরিত্র ‘গুটি’ সিরিজের সুলতানার মতো; যে আমাদের আশপাশে আছে, এ রকম চরিত্রগুলো নিয়ে ভাবা হয় না।

অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত

যে সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি আমরা, তাতে আপনি কিছু না করলেও সমালোচনা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা নেতিবাচক মন্তব্য করে, তাদের ৮০ শতাংশই বাস্তবে নেতিবাচক। এটাও ভাবি, যারা নেতিবাচক মন্তব্য করে, তাদের মানসিক পরিস্থিতি তো আমার চেয়েও খারাপ। ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন।

অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়

নারী স্বাধীনতা কথাটা আমরা একটা ব্র্যাকেটে ফেলে দিয়েছি। আমাদের অনেকের ধারণা, বাড়িতে থাকলে তুমি অকর্মের ঢেঁকি। আর বাইরে বেরিয়ে কিছু করলে তবেই তুমি স্মার্ট, এডুকেটেড। নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আমরা এত সেমিনার-ডিবেট করি, কোথাও গৃহবধূদের ডাকা হয় বলে তো শুনি না।

অভিনেতা শাহরুখ খান

কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, নারী সহকর্মীরা অসম্ভব পরিশ্রমী। আর এতটাই নিয়মানুবর্তী যে আমি সেটে আসার অন্তত চার-পাঁচ ঘণ্টা আগে তারা চলে আসতেন। পুরুষতান্ত্রিক বিশ্বে নারীদের আজও দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবেই গণ্য হতে দেখি। কিন্তু তারাই প্রতি মুহূর্তে আমাদের শেখাচ্ছেন।

অভিনেত্রী ভারতী সিং

আমার মা লোকের বাড়িতে কাজ করত, বাথরুম পরিষ্কার করত। যে বাড়িতে মা কাজ করত, সেখান থেকে বেঁচে যাওয়া খাবার নিয়ে আসত মা। সেটা আমাদের কাছে অমৃত লাগত। এখন কাউকে খাবার নষ্ট করতে দেখলে আমার কাছে তাই খুব খারাপ লাগে।

লেখাটির পিডিএফ দেখতে চাইলে ক্লিক করুন: সোশ্যাল মিডিয়া

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

5 × three =